Pakistan Team Salary Pending: পুরুষ এবং মহিলা উভয় দলেরই বকেয়া বেতন নিয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মধ্যে অসন্তোষ ক্রমশ বাড়ছে। গত ৩ মাস ধরে এখনও বেতন পায়নি বাবর আজম অ্যান্ড কোং। বেতন ছাড়াই টি২০ বিশ্বকাপ খেলছে পাকিস্তান মহিলা দলও। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের মাসিক রিটেইনার, স্পনসরশিপ শেয়ার এবং কেন্দ্রীয় চুক্তির ঘোষণায় ক্রমাগত বিলম্বের জন্যও পাকিস্তান ক্রিকেট শিবিরের মধ্যে অস্থিরতা বাড়ছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) গত তিন মাস ধরে খেলোয়াড়দের বেতন দিতে পারেনি। যার ফলে, দলের খেলোয়াড়রা ক্ষুব্ধ। পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে পিসিবির সূত্রকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, 'গত তিন মাস ধরে ক্রিকেটাররা বকেয়া বেতন এবং পিসিবির সঙ্গে নতুন করে চুক্তির অপেক্ষায় দিন গুণছেন।' পরিস্থিতি দেখে তাঁরা ভীষণ হতাশ।
পিসিবি ও খেলোয়াড়দের মধ্যে আগের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে বেতন বৃদ্ধি-সহ বিভিন্ন সুবিধার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন শাহ আফ্রিদি-সহ এ (A) ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা করের টাকা বাদ দিয়েও মাসিক ৪০ লক্ষ ৫০ হাজার পাকিস্তানি টাকা পান। সঙ্গে, লোগো স্পনসরশিপের টাকা, পিসিবি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) থেকে যে আয় করে তার ৩% অর্থও পান পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা।
এবছর আইসিসির আয় থেকে খেলোয়াড়দের ভাগ হিসেবে জনপ্রতি প্রায় ১০ লক্ষ ৫৩ হাজার পাকিস্তানি টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু, পেমেন্ট দিতে দেরি হওয়ায় খেলোয়াড়দের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দেরির দায় বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা রাজস্বের মুলতুবি এবং প্রশাসনিক বলেই দাবি করেছে পিসিবি। পিসিবির এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'বোর্ড আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডির তিনটি স্টেডিয়ামের সম্পূর্ণ সংস্কারে অনেক টাকা খরচা করছে। এছাড়াও ক্রিকেট-সম্পর্কিত অন্যান্য খরচও আছে। তারপরও খেলোয়াড়দের বকেয়া এই মাসেই মিটিয়ে দেওয়া হবে।'
পিসিবি দাবি করেছে, এই পরিস্থিতিতে তারা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছে। নতুন চুক্তি ২০২৬ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। নতুন চুক্তিতে এ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের মাইনে ২০ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এছাড়া বি, সি এবং ডি ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের মাইনেও বাড়ানো হবে বলেই ঠিক হয়েছে। তবে, গোটাটাই প্রশাসনিক কারণে থমকে আছে।
আরও পড়ুন- স্বপ্নেই ভারতকে কেবল হারানো সম্ভব! রোহিত-কোহলিদের দাপট নিয়ে খুল্লামখুল্লা এবার পাক কিংবদন্তি
তবে, পিসিবি এসব বললেও টি২০ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া পাকিস্তানের মহিলা দলের চার মাসের বেতন বাকি। পাকিস্তান সুপার লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোও অর্থ পাচ্ছে না। যার ফলে লিগের খেলোয়াড়দেরও অর্থ বাকি। শুধু তাই নয়, পিসিবি এখনও পর্যন্ত নতুন চুক্তির কোনও তালিকা প্রকাশ করেনি। গত বছর ভারতে বিশ্বকাপ শুরু না হওয়া পর্যন্ত আগের চুক্তি ঘোষণাই করা হয়নি। এবার আরও দেরি করা হচ্ছে বলেই খেলোয়াড়দের অভিযোগ।