SA vs BAN 2nd Test, day 3:বাংলাদেশকে তাদেরই ঘরের মাঠে গো-হারা হারিয়ে সিরিজ ছিনিয়ে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ইনিংস এবং ২৭২ রানে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচেও দক্ষিণ আফ্রিকা পরাজিত করেছে। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১৪৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা। তার আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ১৫৯ রান। পেসার কাগিসো রাবাদা নেন পাঁচ উইকেট। আর, দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিল ৪১৬ রান। এই পরিস্থিতিতে ফলো অন খাইয়ে ফের বাংলাদেশকে ব্যাট করার সুযোগ দিয়েছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু, সেই সুযোগও কাজে লাগাতে পারেনি শান্তর দল।
এর আগে ঢাকার মিরপুরে উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে সাত উইকেটে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে কেশব মহারাজ নিয়েছিলেন ৫৯ রানে ৫ উইকেট। আর, স্পিনার সেনুরান মুথুসামি নিয়েছিলেন ৪৫ রানে ৪ উইকেট। আর, দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশের ১৬ উইকেটের পতন ঘটল।
রাবাদা নাজমুল হোসেন শান্তকে ৯ রানে, মেহেদি হাসান মিরাজকে ১ রানে ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে শূন্য রানে আউট করেন। তিনি ৩৭ রানে ৫ উইকেট নেন। ডেন প্যাটারসন মুশফিকুর রহিমকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন। এর ফলে, বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে রীতিমতো টলমল পায়ে এগোচ্ছিল। বাংলাদেশ ৩৮ রানে চার উইকেট দিয়ে দিনটা শুরু করেছিল। সেটা ৮ উইকেটে ৪৮ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, মুমিনুল হক ৮২ করে বাংলাদেশের মানরক্ষা করেন। শেষে লাঞ্চের কিছুক্ষণ পরেই মুথুসামির বলে মুমিনুল আউট হওয়ায় তাইজুল ইসলামের সঙ্গে নবম উইকেটে তাঁর ১০৩ রানের পার্টনারশিপের অবসান ঘটে। তাইজুল ফিরে যান ৩০ রানে। তিনি কেশব মহারাজের বলে আউট হন।
আরও পড়ুন- কোহলিই কি ফের ক্যাপ্টেন! রিটেনশন তালিকা ঝুলিয়েই বিরাট আপডেট এবার RCB'র
দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ের জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠে। তার মধ্যেই তাঁদের বাধা হয়ে উঠেছিলেন শান্ত। তিনি ৩৬ রান করেন। অঙ্কন করেন ২৯ রান। হাসান মেহমুদ ৩৮ রানে অপরাজিত থেকে যান। কিন্তু, তাতে বাংলাদেশের পতন রোধ করা সম্ভব হয়নি। এই জয়ের ফলে প্রোটিয়ারা আগামী বছর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার পথে একধাপ এগিয়ে গেল। নভেম্বরে তারা ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুটি করে টেস্ট খেলবে। সেই ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে, তাদের পয়েন্ট কত হয়।