BPL's runners up trophy scam: আর্থিক কেলেঙ্কারির পর এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএলে) ট্রফি কেলেঙ্কারির অভিযোগ। এবারও বিপিএল জিতেছে ফরচুন বরিশাল। এনিয়ে তারা পরপর দু'বার বিপিএলের ফাইনালে উঠল। মিরপুর শের-এ বাংলা স্টেডিয়ামে ফাইনালে বরিশাল হারাল চিটাগং কিংসকে। এর আগে ২০১৩ সালে বিপিএলে ফাইনালে উঠেছিল চিটাগং। সেবারও তারা হেরেছিল। কিন্তু, এবার চিটাগংকে যে ট্রফি দেওয়া হয়েছে, সেটা দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। ট্রফিটা দেখতে বড় কোনও চ্যাম্পিয়নশিপের গোলাকার ট্রফির মত। যেন অনেকটা বড় কোনও ট্রফি। কিন্তু, যেই ট্রফিটা ঘুরিয়ে দেখা হচ্ছে, দেখা যাচ্ছে যে তার পিছনের দিকটা পুরোপুরি সমতল। যার সঙ্গে ট্রফির সামনের দিকের চেহারার কোনও মিলই নেই।
আরও পড়ুন- অর্ধশতাব্দীর পুরোনো রেকর্ড ব্রেক! ইতিহাসে পদক্ষেপ দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাথু ব্রিটজকে
অভিযোগ উঠেছে, ট্রফিটার একটা দিকে স্রেফ বিপিএলের নাম এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ছবি আটকে দেওয়া হয়েছে বা ছেপে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, ট্রফিটার পিছনের দিকটা সহজে দেখা যাবে না বলে সেদিকে আর কোনও নজর দেননি উদ্যোক্তারা। এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে চিটাগংকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল। বরিশালের জার্সির রং লাল। তাদের জার্সি পরে স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন অসংখ্য দর্শক। গ্যালারি থেকে তাঁদেরকে ঘনঘন 'বরিশাল, বরিশাল' স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে।
এসব খেলার পরিবেশটুকু বাদ দিলে এবারের বিপিএল যেন কেলেঙ্কারির ঘনঘটার মধ্যেই কাটল। ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে ১০ ক্রিকেটার এবং ৪টি ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে। যে ম্যাচগুলোয় ফিক্সিং হয়েছে বলে সন্দেহ, সেগুলো হল- বরিশাল-রাজশাহি (৬ জানুয়ারি), রংপুর-ঢাকা (৭ জানুয়ারি), ঢাকা-সিলেট (১০ জানুয়ারি), রাজশাহি-ঢাকা (১২ জানুয়ারি), চিটাগং-সিলেট (১৩ জানুয়ারি), বরিশাল-খুলনা (২২ জানুয়ারি), চিটাগং-সিলেট (২৮ জানুয়ারি) ম্যাচ। এর প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ। তিনি বলেছেন, 'তদন্ত শেষ না হওয়া আমরা কাউকে কিছু বলতে পারছি না। কিন্তু, কেউ দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তি দেব। কাউকে রেয়াত করা হবে না।'
শুধু এ-ই নয়। এবারের বিপিএলে অর্থসংকটও চরমে উঠেছে। টাকা না পেয়ে দুর্বার রাজশাহি টিমের খেলোয়াড়দের কিট আটকে রেখেছেন বাসচালক। বিদেশি খেলোয়াড়রা আটকে থেকেছেন হোটেলে। স্থানীয় খেলোয়াড়রা বেতন না পেয়ে টিম হোটেল ছেড়েই চলে গিয়েছেন।