Tamim Iqbal on Bangladesh head coach: ভারতে টেস্ট এবং টি২০ সিরিজে বাংলাদেশের ধারাবাহিক লজ্জাজনক হারের পর টাইগারদের প্রধান কোচ চন্দিকা হাতুরুসিংহের চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। বাঘ-সিংহের এই কম্বিনেশনে যে বাংলাদেশের খেলার মান আপাতত লাটে, সেটা ভারতে ম্যাচগুলো স্পষ্ট দেখিয়ে দিয়েছে। তা সে পাকিস্তানে যতই ভ্রাতৃত্বের নমুনা হিসেবে শান্তরা ২-০ য় টেস্ট জিতুক না কেন, খেলার মানে বাংলাদেশ কোথায়, সেটা স্পষ্ট হয়েছে তাদের ইন্ডিয়া সফরে। হাতুরুসিংহের চুক্তি আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত থাকলেও বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদের সাম্প্রতিক মন্তব্য, টুর্নামেন্টের পরে তাঁর চুক্তি বাড়বে কি না, তা নিয়েই সংশয় তৈরি করে দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সিংহের অবর্তমানে টাইগারদের কোচ কে? এই প্রশ্নটা স্বভাবতই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক তামিম ইকবাল মনে করেন, টাইগারদের কেউ এই দায়িত্বের যোগ্যই না। স্থানীয়রা কেবল সাহায্যকারী কোচ হতে পারেন মাত্র। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে বিদেশি কোচই দরকার। বাংলাদেশের কোচদের দক্ষতার কথা মাথায় রেখেই এমন মন্তব্য করেছেন বর্তমানে ধারাভাষ্যকার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই প্রাক্তনী।
এনিয়ে তামিম বলেছেন, 'আমার মনে হয় না যে বাংলাদেশের কেউ জাতীয় দলের হেড কোচ হওয়ার যোগ্য। যে দু'তিন জন বর্তমানে আছেন, ওঁরা সহকারি কোচ হতে পারেন। কিন্তু, হেড কোচ করাটা ঠিক হবে না। এখন যেটা দরকার, তা হল কোচিং টিমে রদবদল। এমনভাবে কোচিং টিম তৈরি করতে হবে যাতে ৩০ শতাংশ বিদেশি কোচ আর ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি সাপোর্ট স্টাফ থাকে। তাহলেই বাংলাদেশ ওই বিদেশি কোচদের সংস্পর্শে ভালো দেশীয় কোচ তৈরি করতে পারবে।'
কোচ বাছাইয়ের সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্তাদের বড় নামের পিছনে না দৌড়নোর পরামর্শই দিয়েছেন তামিম। তিনি জানিয়েছেন, বোর্ডের উচিত এমন লোকেদের দায়িত্ব দেওয়া, যাঁরা পরিশ্রমী হবে। দলের জন্য কিছু করে দেখাতে চাইবে। এই ব্যাপারে তামিমের সোজাকথা, 'বড় নামের পিছনে দৌড়ে কী হবে? নামী কোচ মানেই ভালো খেলোয়াড় তৈরি করবে, এমন তো না। পরিশ্রমী লোক চাই। বাংলাদেশের জন্য কিছু করবে, এরকম কোচ দরকার।'
আরও পড়ুন- বিশ্বের যে কোনও দলকে হারানোর সামর্থ্য রাখি! ভারতের কাছে কচুকাটা হয়েও আত্মবিশ্বাসী টাইগার শান্ত
এই ব্যাপারেও ভারতের উদাহরণ টেনেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক। তিনি বলেছেন, 'ভারতের এখন প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর। সহকারি কোচ অভিষেক নায়ার আর রায়ান টেন ডয়েশ্যাট। গম্ভীরের আন্তর্জাতিক খ্যাতি আছে। কিন্তু, বাকি দু'জনের তো তা নেই। কিন্তু, ওঁরা কোচ হিসেবে পরিশ্রমী। পরদার আড়াল থেকে কাজ করে। অভিষেক নায়ার বেশ কয়েকটা দলের সঙ্গে ছিল। দুর্দান্ত কাজ করেছে। খেলোয়াড়রা ওঁকে ভালোমতন চেনে। এইজন্যই বিসিসিআই ওঁদের সহকারি কোচ করেছে।'