ডেড বল বিতর্কে জড়িয়ে খবরের শিরোনামে মুম্বই টি-২০ লিগ। এবার সমাধান বাতলে দিলেন সেই শহরেরই ক্রিকেট আইকন। শচীন তেন্ডুলকর বলছেন, নিয়ম ভাঙলে ব্যাটিং দলেরও সাত রান পেনাল্টি হিসেবে কেটে নেওয়া হবে।এবার আসা যাক ঘরোয়া ক্রিকেটের এই টুর্নামেন্টে ডেড বলের ঘটনাটা ঠিক কী হয়েছিল। শনিবার মুম্বই টি-২০ লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল সোবো সুপারসনিকস এবং আকাশ টাইগার্স। সেই ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন।মাঠে বসেই খেলা দেখছিলেন তিনি।
১৫ ওভারের শেষে সুপারসনিকস কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৫৮ রান তুলে ফেলেছিল। তখনই পায়ে টান ধরায় ব্যাটসম্যান হর্ষ ট্যাঙ্কের মেডিক্যাল সহযোগিতা নেওয়ার প্রয়োজন হয়। এই ওভারের শেষ বলে জয় বিস্ত একটি সিঙ্গল রান নেন। পরের ওভারে প্লেয়ার থেকে শুরু করে আম্পায়ার কেউই বুঝতে পারেননি যে, ট্য়াঙ্কে স্ট্রাইকে চলে এসেছিলেন। কিন্তু বিস্তা আসেননি। ভুল করে স্ট্রাইক নেওয়ার পরেই ট্যাঙ্ক প্রথম বলে আউট হয়ে যান। আম্পায়াররা বুঝতে পেরে বলটিকে ডেড বল বলে ঘোষণা করেন। যা দেখেই শচীন এই সিদ্ধান্ত দেন।
আরও পড়ুন: ICC Cricket World Cup 2019: এবার শচীন জানিয়ে দিলেন কত নম্বরে ধোনির ব্যাট করা উচিত
শচীন বলেন, "আমি প্রথমবার এরকম কিছু দেখলাম। তখনই মনে হল কী করা যেতে পারে। কারণ এটা ডেড বল হতে পারে না। কিন্তু নিয়মটা এরকম। যদি তিন জন ফিল্ডার সার্কেলের মধ্যে থাকে তাহলে আম্পায়ার তাদের বলেন না, আরও একজন ফিল্ডারের সার্কেলের মধ্যে থাকা উচিত। সেটাকে নো বল ঘোষণা করে ফ্রি-হিট দেওয়া হয়। ফলে ফিল্ডিং সাইডকে পেনাল্টি দিতে হয়। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা যদি নিজেদের এন্ডে না থাকে তাহলে কেন তাদের পেনাল্টি দিতে হবে না? আমার মনে হয় ব্যাটিং সাইডেরও পেনাল্টি কাটা উচিত। এক বলে সর্বোচ্চ সাত রান করা সম্ভব। সেটা নো বল এবং ফ্রি-হিট মিলিয়ে। তাই ব্যাটিং সাইডেরও সাত রান পেনাল্টি কেটে নেওয়া হোক।" শচীন আরও বলছেন যে, এখন প্রযুক্তি এত উন্নত যে. তৃতীয় বা চতুর্থ আম্পায়ার লেগ আম্পায়ারকে জানিয়ে দিতে পারেন যে, স্ট্রাইকার নিজের প্রকৃত জায়গায় নেই।