অবশেষে রমেশ পাওয়ারের অধ্যায় শেষ। মিতালি-হরমনপ্রীতদের জন্য নতুন কোচের সন্ধান শুরু করে দিল বোর্ড। জাতীয় মহিলা দলের নয়া কোচের পদের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করল ভারতী ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।
আজ অর্থাৎ ৩০ নভেম্বর অন্তর্বতী কোচ হিসেবে পাওয়ারের চুক্তি শেষ হল। ভারতীয় দলের প্রাক্তন অফস্পিনারের সঙ্গে বোর্ড আর কোনও ভাবেই চুক্তি নবীকরণ করতে আগ্রহী নয়। একথা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট। এদিনই বোর্ড বিবৃতি দিয়ে নয়া কোচের জন্য আবেদনপত্র চেয়েছে। একটি বিজ্ঞপ্তিতে বিসিসিআই জানিয়েছে যে, ভারতের সিনিয়র মহিলা দলের জন্য পাকাপাকি ভাবে তাঁরা কোচ চাইছেন। দু’বছরের জন্য তাঁর সঙ্গে চুক্তি করা হবে। সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬০ বছর। আগামী ১৪ ডিসেম্বরের আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২০ ডিসেম্বর বোর্ডের সদর দফতর মুম্বইতে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমেই নয়া কোচ বেছে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার দিন, টুইটারে লিখলেন মিতালি
গত জুলাইতে বরোদার অল-রাউন্ডার তুষার আরোঠের বিতর্কিত বিদায়ের পরেই পাওয়ারকে মিতালিদের মাথায় বসানো হয়েছিল। তুষারের সঙ্গে সিনিয়র ক্রিকেটারদের কোচিং পদ্ধতি নিয়ে মতপার্থক্য দেখা গিয়েছিল। এর জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তুষার। পাওয়ারের পরিণতিও খানিকটা সেই পথেই ঘটল। ঘটনার সূত্রপাত সদ্যসমাপ্ত টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তাঁকে দল থেকে মিতালিকে বাদ দেওয়া নিয়ে। মিতালির সঙ্গে কোনও আলোচনা না-করেই পাওয়ার তাঁকে বাদ দিয়েই নির্বাচিত একাদশ সাজিয়েছিলেন।
এই পুরো ঘটনায় অত্যন্ত ভেঙে পড়েন মিতালি। বোর্ডকে পাওয়ার ও সিওএ-র সদস্য ডায়না এডালজির বিরুদ্ধে তোপ দেগে চিঠিও লিখেছিলেন মিতালি। আর এর পাল্টায় পাওয়ার প্রশ্ন তুলেছিলেন মিতালির যোগ্যতা নিয়ে। পাওয়ার লিখেছিলেন, “মিতালি একজন সিনিয়র প্লেয়ার হয়েও দলের মিটিংয়ে ন্যূনতম ইনপুট দেয় না। আমরা টেবিল টপার হওয়ার পরেও ওর মুখ থেকে একটাও প্রশংসা শোনা যায়নি। ও টিম প্ল্যান বুঝতেও পারে না। আর সেই মতো নিজেকে মানিয়ে নিতেও পারে না। দলে নিজের ভূমিকার কথা ভুলে নিজের মাইলস্টোনের জন্যই ব্যাট করেছে। এরকম অনেক কিছুর জন্যই অনান্য ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপ পড়ছে।” আর এসব শুনে মিতালি গতকালই টুইট করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে, কুৎসা রটানো হয়েছে তাতে আমি গভীর ভাবে মর্মাহত হয়েছি। অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছি। ২০ বছর খেলার পরেও দেশের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আমার কঠোর পরিশ্রম, ঘাম সব জলে চলে গেল। আজ আমার জাতীয়তাবোধ নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ হয়েছে। আমার স্কিল নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সর্বোপরি এই কাদা ছোড়াছুড়ি! আমার জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার দিন এটা। ভগবান আমাকে শক্তি দিন।”