সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বোর্ড প্রশাসনে বদল ঘটেছে বেশ কিছুদিন আগেই। সুপ্রিমকোর্ট নিযুক্ত প্রশাসকরা আগেই সরিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার বোর্ড সিইও রাহুল জোহরিও ইস্তফা দিলেন। যদিও তাঁর পদত্যাগ পত্র এখনও গৃহীত হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগেই বোর্ডে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন সিইও। এর আগে ভারতীয় বোর্ডে কখনও চিফ এক্সিকিউটিভ গোছের পদ ছিল না। রাহুল জোহরিই ছিলেন বোর্ডের প্রথম সিইও। যাইহোক তাঁর পদত্যাগপত্র এখনই গ্রহণ করা হচ্ছে না। তাঁকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
রবিবারে বোর্ডের এক কর্তা প্রথমসারির এক প্রচারমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের নিয়োগাধীন যে প্রশাসকমণ্ডলী গঠন করা হয়েছিল, সেই সময়ে সিইও হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রাহুল জোহরি। তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত প্রশাসকরা যাতে ক্ষমতায় আসেন, সেজন্য গত বছর অক্টোবরেই ক্রিকেটের কমিটি অফ অ্যাডমিনিট্রেটর্সের সদস্যরা সরে দাঁড়িয়েছিলেন।
পিটিআইকে সেই কর্তা জানিয়েছেন, "রাহুল জোহরির পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে। তবে সেইজন্য আরও কিছুদিন সময় লাগবে। যদিও উনি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।" সিইও হিসেবে রাহুল জোহরি বোর্ডে বেশ কিছু প্রশংসনীয় কাজ করেছিলেন। ১৬৩৪৮ কোটি টাকা বিনিময়ে আইপিএলের সম্প্রচার সত্ত্ব বিক্রি করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন।
বোর্ড সিইও রাহুল জোহরি (টুইটার)
তিনি যে সময় নিযুক্ত হয়েছিলেন, সেই সময়ে বোর্ড সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর এবং সচিব ছিলেন অনুরাগ ঠাকুর। বর্তমানে শশাঙ্ক মনোহর আইসিসি চেয়ারম্যান।
যাইহোক, গত বছর ২৩ অক্টোবর বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বোর্ডের মসনদে বসেই সৌরভ একের পর এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রশাসক হিসেবে এর আগে সিএবি-র সর্বেসর্বা হয়েছিলেন। বাংলার ক্রিকেটেও আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন সৌরভ। এবার সৌরভ ভারতীয় ক্রিকেটের ভোল বদলে দিয়ে চান।
যদিও বিসিসিআই-এর সংবিধান অনুযায়ী, আগামী বছরের জুলাই মাসে তাঁর বর্তমান পদ ছাড়তে হবে সৌরভকে, যখন তাঁর ‘কুলিং অফ’-এর সময়সীমা চালু হবে।