লোধার কুলিং অফ নিয়মে সংশোধন চাই। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিসিসিআইয়ের এজিএমে রবিবারেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেল। শিলমোহর পড়ল এদিনই। এবার অপেক্ষা সুপ্রিম কোর্টের। লোধা প্যানেলের তৈরি সংবিধানে অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি যদি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা ও বিসিসিআই-র আধিকারিক হিসেবে পরপর দু-বার নির্বাচিত হন, তবে তাঁকে বাধ্যতামূলক ভাবে তিন বছরের জন্য কুলিং অফে যেতে হবে।
এই নিয়ম অনুযায়ীই বোর্ডের সদ্য নির্বাচিত সৌরভকে বিদায় নিতে হবে নয় মাসের মধ্যে। কারণ বোর্ড সভাপতি হওয়ার আগে তিনি পাঁচ বছর সিএবি সভাপতি ছিলেন। রবিবারের বৈঠকে সেই নিয়ম পরিবর্তনের দিকে একধাপ এগোল বোর্ড। বোর্ডের ৮৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রত্যেকেই এই নিয়ম সংশোধনের দাবিতে সবুজ সঙ্কেত জানান। তবে এই নিয়ম পরিবর্তন করতে হলে অ্যাপেক্স কোর্টের সম্মতি প্রয়োজন।
পিটিআইকে দেওয়া বোর্ডের এক শীর্ষ কর্তা জানান, "প্রস্তাবিত সমস্ত সংশোধনেই সম্মতি জানানো হয়েছে। বিষয়টি সুপ্রিমকোর্টে দ্রুত ফরোয়ার্ড করে দেওয়া হবে।" বোর্ডের এই নিয়ম সংশোধনে সুপ্রিম কোর্ট রাজি হয়ে গেলে বর্তমান সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়াদ বাড়তে পারে। কুলিং অফ পিরিয়ডে আর যেতে হবে না মহারাজকে। শুধু সৌরভ নন, মেয়াদ বাড়তে পারে সচিব জয় শাহেরও। কারণ, লোধা কমিটির কুলিং অফ নিয়ম মানলে জয় শাহ-কেও এক বছরের মধ্যে পদ ছাড়তে হবে।
৭০ বছর ও তার বেশি বয়সের কোনও ব্যক্তি বোর্ড কিংবা রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কোনও পদে থাকতে পারবেন কিনা, এই নিয়ম সংশোধনেই দাবি তোলা হয়েছে।
এদিকে, তিরিশের কোটায় থাকা জয় শা বিসিসিআই সিইও রাহুল জহুরির স্থলভিষিক্ত হচ্ছেন। আইসিসি-র বৈঠকে বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির থাকবেন জয়-ই। বোর্ডের এক কর্তা পিটিআইকে জানিয়েছেন, "পুরো বিষয়টি চূড়ান্ত হবে ৩ তারিখে সুপ্রিমকোর্টে রায়ের পরে।"
পাশাপাশি বিসিসিআইয়ের ক্রিকেট অ্যাডভাইসারি কমিটিতে কারা থাকবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হল না। জানানো হয়েছিল, লক্ষ্মণ, শচীনের প্রত্যাবর্তন ঘটছে সিএসি-তে। তবে আপাতত সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়েছে এজিএমে।
Read the full article in ENGLISH