Advertisment

জুম কলে মিটিং সৌরভ-শাহের! কোহলিকে নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে বোর্ড

কোহলিকে নিয়ে এখনই চরম পথে হাঁটতে চাইছে না বোর্ড। সৌরভও তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে এমনটাই।

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
NULL

বিরাট কোহলি সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষোভ উগরে।দেওয়ার পরে বোর্ডের আপাতত কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত। কোহলিকে কড়া বার্তা দিতে চাইছে বোর্ড। তবে সামনে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। সেই সফরে ফোকাস যাতে নড়ে না যায়, সেদিকেও নজর রাখতে চায় বোর্ড। বোর্ড আপাতত এমন পন্থা খুঁজছে, যেখানে সাপ-ও মরবে, আবার লাঠিও ভাঙবে না!

Advertisment

বোর্ড ভেবেছিল সাদামাটা ভাবেই সাংবাদিক সম্মেলন সারবেন কোহলি। বিতর্কের রেশ থাকবে না। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে এভাবে যে খুল্লামখুল্লা আক্রমণ করবেন বিরাট, তা ভাবতে পারেনি বিসিসিআই। কোহলি নিজে বড়মাপের ক্রিকেটার হতে পারেন। তবে যাঁর বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন, তিনি আবার ক্রিকেট বিশ্বে চরম সম্মানীয়। জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন বোর্ড প্রেসিডেন্টকে আক্রমণ করছেন, তা-ও আবার প্রকাশ্যে, এমনটা আগে ঘটেনি ক্রিকেট বিশ্বে।

আরও পড়ুন: দ্রাবিড়-লক্ষ্মণের পরে এবার শচীন! বন্ধুকে বিশাল দায়িত্বে আনছেন সৌরভ

জানা যাচ্ছে, বোর্ডের কেউই কোহলির চূড়ান্ত আগ্রাসনে সন্তুষ্ট নয়। আবার এই মুহূর্তে কোহলিকে শাস্তি দেওয়া হলে তা আবার বুমেরাং হয়ে ফিরে।আসতে পারে। তাই কোহলি ইস্যুতে সতর্কভাবে পা ফেলতে চাইছে বোর্ড। কোহলিরা বৃহস্পতিবারই উড়ে গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। তবে কলকাতায় বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেবেন না।

সূত্রের খবরে জানা যাচ্ছে, বুধবারই জয় শাহ, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সহ বোর্ডের শীর্ষকর্তারা জুম কলে মিটিং সারেন। সেখানে ঠিক হয়েছে কোহলি-কাণ্ডে কেউ কোনও সাংবাদিক সম্মেলন করবে না। কোনও প্রেস রিলিজও বের করা হবে না।

বোর্ডের এক সূত্র সংবাদসংস্থা কে জানিয়েছেন, "সংবেদনশীল এই ইস্যুতে কী ভাবে পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সভাপতির চেয়ারের মান মর্যাদার সঙ্গে পুরো বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। সামনেই টেস্ট সিরিজ রয়েছে। এমন অবস্থায় কড়া শাস্তির পথে হাঁটলে দলের মানসিকতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেই বিষয়ে বোর্ড ওয়াকিবহাল।"

বলা হচ্ছে, এই মুহূর্তে আপাতত একটাই করণীয়। সৌরভ-কোহলিকে সামনাসামনি বসিয়ে পুরো বিষয়ের সুষ্ঠুভাবে অবসান ঘটানো। তবে জয় শাহ কিংবা সৌরভ সরাসরি কোহলির সঙ্গে কথা বলবেন না। সাধারণত, কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় থাকা ক্রিকেটাররা বোর্ডের কোনও পদাধিকারীর বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করেন না। সেই প্রোটোকলই ভেঙেছেন কোহলি।

কোহলি ১৩ বছর ধরে মিডিয়া সামলাচ্ছেন। তিনি ভালোভাবেই জানেন তাঁর বিষ্ফোরণের পরে তাঁর দিকে কি ধেয়ে আসতে চলেছে। মাঠে যেভাবে বোলারদের শাসন করেন, সেভাবেই নিখুঁতভাবে সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের বক্তব্য প্রকাশ করেছেন। প্ৰথমত, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ওয়ানডেতে তিনি খেলছেন না, এই গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, রোহিতের সঙ্গে তাঁর যে কোনও সমস্যা নেই সেটাও জানিয়েছেন। তৃতীয়ত, সৌরভের বক্তব্য সরাসরি খন্ডন করেছেন। তবে সরকারিভাবে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব যাওয়ার পরে তিনি যে অসন্তুষ্ট, একবারও বলেননি।

তাহলে কি কোহলিকে ছেড়ে দেবে বোর্ড? দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের কথা ভেবে সেই পথেই হাঁটতে চলেছে বোর্ড। তবে অদূর ভবিষ্যতে কী শাস্তি অপেক্ষা করছে, সেদিকেই নজর ক্রিকেট বিশ্বের।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

BCCI Virat Kohli
Advertisment