নিজের খেলোয়াড়ি জীবনে বটগাছের মত ছায়া দিয়েছিলেন। আজ তিনি পূর্বজের চেয়ারে। এমন অবস্থায় জগমোহন ডালমিয়ার জন্মদিনে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় স্মরণ করলেন প্রাক্তনকে।
বলা হয় ভারতীয় ক্রিকেটের গতিপথই বদলে দিয়েছিলেন জগমোহন ডালমিয়া। ক্রিকেট প্রশাসক হিসাবে সিএবি, বিসিসিআই এবং আইসিসি প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বেই বিশ্ব ক্রিকেটে সমীহ আদায় করে নেয় ভারত। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বর্তমানে বোর্ডেরই সভাপতি।
বোর্ডের জটিল পরিস্থিতিতে এসজিএম-এ মুম্বই হাজির হয়েছিলেন শুক্রবারই। তারপর আইসিসি বৈঠকের আগেই সচিব জয় শাহকে নিয়ে উড়ে গিয়েছেন দুবাইয়ে। সেখানে আইপিএল আয়োজনের জন্য আমিরশাহি ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক করার পাশাপাশি আইসিসির সঙ্গেও আলোচনা সারবেন আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপ নিয়ে।
আরো পড়ুন: নিরামিষাশী হয়েও ডিম খাচ্ছেন কোহলি, নিজের ডায়েট ফাঁস করে বিপাকে মহাতারকা
ঠাসা এই ক্রিকেট ব্যস্ততার মধ্যেও সৌরভ ভোলেননি ডালমিয়াকে। ৮১তম জন্মদিনে প্রয়াত সর্বময় কর্তাকে নিয়ে টুইটারে নিজের আবেগ উজাড় করে দিলেন তিনি। ডালমিয়ার জন্মদিনে সৌরভ টুইটারে নিজের একাউন্ট থেকে জোড়া ছবি শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে সৌরভ লিখলেন, "এমন একজন দুরন্ত মানুষের জন্মবার্ষিকী যিনি ক্রিকেটকে প্রচন্ড ভালোবাসতেন।"
দু-দফায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির পদ সামলেছিলেন জগমোহন ডালমিয়া। ২০০১-২০০৪ এবং ২০১৫ এই দু-দফায় ডালমিয়া বিসিসিআইয়ের সভাপতি হয়েছিলেন। তার আগে ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত আইসিসির সভাপতি পদে আসীন ছিলেন তিনি। ১৯৮৭ এবং ১৯৯৬ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজনের নেপথ্য ব্যক্তি ছিলেন তিনি।
তাঁর আমলে আইসিসির ক্রিকেট উপার্জনও বহুলাংশে বেড়ে গিয়েছিল। আর ডালমিয়ার সুযোগ্য নেতৃত্বেই ভারত বিশ্ব ক্রিকেটের পাওয়ারহাউস হিসাবে আবির্ভুত হয়। বিশ্বক্রিকেটে ভারতীয় বোর্ড যে বর্তমানে ধনীতম, তাঁর সূচনা হয় ডালমিয়ার হাত ধরেই। তাঁর দেখানো পথেই এগিয়ে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট।
টালমাটাল সময়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে জাতীয় দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়ার পিছনেও ডালমিয়ার হাত ছিল। আর বাংলাদেশকে টেস্ট স্টেটাস দিয়ে ডালমিয়া উপমহাদেশে ক্রিকেটকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেন।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে ডালমিয়ার সম্পর্ক কার্যত গুরু-শিষ্যের। বর্তমানে ডালমিয়ার চেয়ারেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আর তাই গুরুর জন্মদিনে স্মরণ করলেন মহারাজ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন