একদিন আগেই ঋদ্ধিমান সাহা সাংবাদিকের হুমকি চ্যাট ফাঁস করে দিয়েছিলেন। পাশাপশি জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পরে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল হয়ে গিয়েছিল তারপরে। এরপরেই বোর্ডের তরফে গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে। এমনটাই জানা যাচ্ছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে।
ঋদ্ধিমান সাহা শ্রীলঙ্কা সিরিজে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পরে জনৈক সাংবাদিক সাক্ষাৎকারের জন্য জোরাজুরি করেছিলেন। তারপরে শেষমেশ হুমকিও দিতে বসেন।
টুইটারে হোয়াটসএপ চ্যাটের সেই কথোপকথনের স্ক্রিনশট শেয়ার করে দেন ঋদ্ধিমান সাহা। এমন ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পরই বীরেন্দ্র শেওয়াগ থেকে হরভজন সিং, আকাশ চোপড়া, হরভজন সিংরা বাংলার তারকা কিপারের পাশে দাঁড়ান।
আরও পড়ুন: বোর্ডের সঙ্গে ব্যক্তিগত কথাবার্তা প্রকাশ্যে কেন! ঋদ্ধিকে এবার বিঁধলেন সৌরভের দাদা স্নেহাশিস
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিসিসিআইয়ের এপেক্স কাউন্সিল গোটা বিতর্কিত ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে। বোর্ডের এক সূত্র জানিয়েছেন, "সবকিছু ঠান্ডা ঘরে মোটেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে না। ঋদ্ধিমান সাক্ষাৎকারে যা বলেছে এবং যে টুইট শেয়ার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
ঋদ্ধিমান জাতীয় দলের জার্সিতে শেষ টেস্ট খেলেছেন ২০২১-এর নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়েতে। বোর্ডের কর্তা জানিয়েছেন, "ঋদ্ধিমান বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার। ক্রিকেটারদের দেখভাল করা বোর্ডের দায়িত্ব। এছাড়াও এখানে যদি কোনও আঁতাত কাজ করে, তাহলে সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার।"
জানা যাচ্ছে, বোর্ডের তরফে ঋদ্ধিমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্ক্রিনশটের ফরেন্সিক তদন্তের কথা বলা হতে পারে। "তদন্তে যদি উঠে আসে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভারতীয় ক্রিকেট কভার করা কোনও সাংবাদিক। সেক্ষেত্রে বোর্ডের তরফে সেই সাংবাদিককে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।"
আরও পড়ুন: সাংবাদিকের গলায় হুমকির সুর! সাহসী চ্যাট ফাঁস করে তুলকালাম ঋদ্ধিমানের, দেখুন
শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে ঋদ্ধিমান সহ ইশান্ত শর্মা, চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্কা রাহানে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন। তারপরই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ঋদ্ধিমান দাবি করেন, ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় তাঁকে পরোক্ষে অবসরের কথা চিন্তাভাবনা করতে বলেন। এছাড়াও সৌরভ যে কানপুর টেস্টের পরে ঋদ্ধিকে টিম ইন্ডিয়ায় থাকার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন, তা-ও খোলসা করেন ঋদ্ধিমান।
"রাহুল দ্রাবিড়ের বিষয়টি তবু বোধগম্য। তিনি যুক্তিবাদী কোচ। ক্রিকেটারদের আগাম সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত দিয়ে থাকতেই পারেন। সেটা পুরোপুরি কোচ এবং ক্রিকেটারদের ভিতরের কথা। তবে বোর্ড কী করে কোনও ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে আশ্বস্ত করতে পারে? 'যতদিন উনি আছেন, আমার চিন্তা করার কোনও কারণ নেই', কতটাই না খারাপ চিন্তাভাবনা!" বলে দিয়েছেন সেই বোর্ড কর্তা।