Sachin as batting consultant for Australia Tests: প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ডব্লিউভি রমন, বৃহস্পতিবার ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে (বিসিসিআই) আসন্ন বর্ডার-গাভাসকার ট্রফি সিরিজে ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকে কোচিং টিমে যুক্ত করার পরামর্শ দিলেন। যাতে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মারা তাঁদের ব্যাটিং ফর্ম ফিরে পান, সেই জন্য এই পরামর্শ দিয়েছেন রমন। নিউজিল্যান্ড সিরিজে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার পারফরম্যান্স সমালোচিত হয়েছে। কারণ, গোটা সিরিজ মিলিয়ে কোহলি মাত্র ৯৩ এবং রোহিত করেছেন ৯১ রান।
এমাসের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে টিম ইন্ডিয়া। স্পিনের বিরুদ্ধে ভেঙে পড়েছে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ। তিনটি টেস্ট ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের স্পিনাররা ভারতের ৩৭টি উইকেট নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের পরবর্তী খেলা। সিরিজের ফলাফল নির্ধারণে ব্যাটিং পরামর্শদাতার বিরাট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। একথা মাথায় রেখেই শচীনকে ভারতের ব্যাটিং পরামর্শদাতা নিযুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন রমন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তিনি সেই পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর এই পরামর্শ স্বভাবতই ভাইরাল হয়েছে।
কোহলি এবং রোহিত, সম্ভবত তাঁদের কেরিয়ারের শেষ অস্ট্রেলিয়া সফর করছেন। সেকথা মাথায় রেখে রমন টুইট করেছেন, 'আমি মনে করি যে বিজিটি ২০২৫ (BGT 2025)-এর প্রস্তুতিতে ব্যাটিং পরামর্শদাতা হিসেবে তেন্ডুলকারের সাহায্য পেলে টিম ইন্ডিয়া (Team India) উপকৃত হত। দ্বিতীয় টেস্ট-এর এখন অনেকটাই দেরি। আজকাল পরামর্শদাতা থাকাটা একটা সাধারণ ব্যাপার হয়ে গিয়েছে। সেজন্যই একথা ভাবলাম।'
কোহলির দুর্দান্ত কেরিয়ারে প্রথমবার কালো দাগ লেগেছিল ১০ বছর আগে। সেবার ইংল্যান্ড সফরে ২৫ বছরের কোহলির কাছে বিরাট প্রত্যাশা ছিল ভক্তদের। কিন্তু, কোহলি মাত্র ১৩৪ রান করেছিলেন। তাতে তাঁর ব্যাটিং গভীরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু, সেই ব্যাড প্যাচ কাটিয়ে কোহলি বিশ্ব ক্রিকেটের সিংহাসনে চড়েছেন। সেই সময় শচীনের পরামর্শ তাঁর কাজে লেগেছিল বলে কোহলি পরবর্তী সময়ে জানিয়েছেন।
কোহলি ২০২০ সালে বিসিসিআই.টিভি (bcci.tv)-তে মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে বলেছিলেন, 'সেই সময় আমার পিছন দিকের নড়াচড়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। পিছন দিকটা যদি খুব বেশি সরানো হয় বা কাছাকাছি রাখা হয়, তবে সমস্যা দেখা দেয়। সেই জন্য ব্যাটারকে পিছনের দিকটার অবস্থানের ওপরও নজর রাখতে হয়। তাতে ভারসাম্য রাখতে পারলেই ব্যাটার অফ এবং লেগ সাইডে ভালো খেলতে পারেন।'
কোহলি বলেছিলেন, 'আমি ইংল্যান্ড থেকে ফিরে এসে শচীন পাজির সাথে কথা বলি। মুম্বইয়ে ওঁর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কাটাই। আমি ওঁকে বলেছিলাম যে আমি আমার পিছনের অবস্থান নিয়ে সমস্যায় ভুগছি। তিনি আমাকে ফাস্ট বোলারদের সামনে পিছনের দিকের অবস্থানটা কোথায় থাকা উচিত, সেটা দেখিয়ে দেন। তখন আমি আমার সমস্যাটা কাটিয়ে উঠি। তারপর ভালোভাবে খেলতে শুরু করি। অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে ভালো খেলি।'
আরও পড়ুন- অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় দলকে নিয়ে বড়সড় গুজব! নাম খারাপ হতেই আসরে জয় শাহের বিসিসিআই
কোহলি বলেছিলেন, 'আমি ইংল্যান্ড থেকে ফিরে এসে শচীন পাজির সাথে কথা বলি। মুম্বইয়ে ওঁর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কাটাই। আমি ওঁকে বলেছিলাম যে আমি আমার পিছনের অবস্থান নিয়ে সমস্যায় ভুগছি। তিনি আমাকে ফাস্ট বোলারদের সামনে পিছনের দিকের অবস্থানটা কোথায় থাকা উচিত, সেটা দেখিয়ে দেন। তখন আমি আমার সমস্যাটা কাটিয়ে উঠি। তারপর ভালোভাবে খেলতে শুরু করি। অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে ভালো খেলি।' কোহলি অস্ট্রেলিয়ায় ৬৯২ রান করেছিলেন। তার মধ্যে ৪টি সেঞ্চুরিও ছিল। অ্যাওয়ে সিরিজে এটাই তাঁর সর্বকালের সেরা পারফরম্যান্স।