বাঙালি বিশ্বকাপার। জাতীয় যুব দলের পূর্বতন কোচ লুইস নর্টন দ্য ম্যাতোসের প্রিয় পাত্র ছিলেন। আইলিগের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ট গোলস্কোরারও ছিলেন একসময়। সেই জিতেন্দ্র সিং-ই এবার পা বাড়ালেন আইলিগ থেকে আইএসএল-এর দিকে। সূত্রের খবর, আসন্ন মরশুমে ইন্ডিয়ান অ্যারোজ নয়। জিতেন্দ্র-র ঠিকানা হতে চলেছে জামশেদপুর এফসি।
যুব বিশ্বকাপের বাকি দুই বাঙালি প্রতিনিধি- রহিম আলি এবং অভিজিৎ সরকার আগেই চেন্নাইয়িন এফসি-তে যোগ দিয়েছিলেন। এবার সেই আইএসএল সরণিতেই পা বাড়ালেন টালিগঞ্জের জিতু। জানা গিয়েছে, জামশেদপুরের সঙ্গে চুক্তি প্রায় পাকা তারকার। দু-একদিনের মধ্যেই সরকারিভাবে জিতেন্দ্র-র অন্তর্ভূক্তির খবর জানানো হবে।
ইস্টবেঙ্গলের বাতিল বাঙালি এবার মোহনবাগানে, প্রত্যাবর্তনের সুযোগ মিলছে পড়শি ক্লাবেই
গতবার জামশেদপুরের দায়িত্বে ছিলেন সিজার ফেরান্দো। এই মরশুমে এখনও কোচের নাম ঘোষণা করেনি টাটা-র মালিকানাধীন ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তবে তার আগেই দেশীয় ফুটবলার বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা। উইঙ্গার কিগান পেরেরাকে কিছুদিন আগেই সই করিয়েছে তারা। চুক্তি পুনর্নবীকরণ করেছে অগাস্টিন ফার্নান্দেজ ও রবিন গুরুংয়ের সঙ্গে। তারপরেই যুব দলের তারকাকে স্কোয়াডে আনতে উদ্যোগী জামশেদপুর।
বিশ্বকাপে রাইট ব্যাক পজিশনে খেলেছিলেন জিতেন্দ্র। তবে বরাবরের পছন্দের পজিশন সেন্টার ব্যাক। ইন্ডিয়ান অ্যারোজে কোচ ফ্লয়েড পিন্টো স্টপার পজিশনেই খেলাতেন বাঙালি তারকাকে। আইলিগে প্রথম একাদশে নিয়মিত খেলেছেন। অংশ নিয়েছেন ১৪টি ম্যাচে।
এবারে তাঁর গন্তব্য জামশেদপুর এফসি। যাইহোক, যুব বিশ্বকাপের পরে স্কোয়াডের সমস্ত ফুটবলারদের ধরে রেখে চুক্তি করা হয়েছিল ফেডারেশনের তরফে। তবে এক বছর পরে যুব স্কোয়াডের অধিকাংশ ফুটবলারকেই আইএসএল-এ লোনে খেলতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম গোলদাতা জিকসন সিং কেরালা ব্লাস্টার্স, কোমল থাটাল এটিকে, আনোয়ার আলি মুম্বই সিটি এফসি-তে! চলতি দলবদলের বাজারেও সেই 'এক্সোডাস' এখনও অব্যাহত। জিতেন্দ্র-র দলবদলে সেই ট্রেন্ডই বজায় থাকল। এতে ফেডারেশনের যুব-প্রোজেক্ট নিয়ে উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। পাশাপাশি, সরকারিভাবে আইএসএল দেশের একনম্বর দল না হলেও যেভাবে দেশের সেরা ফুটবলাররা ক্রোড়পতি ফুটবল টুর্নামেন্টে নাম লেখাচ্ছেন, তাতেই স্পষ্ট ফেডারেশনের কাছে এখন অগ্রাধিকার আইএসএল, আইলিগ নয়।
যাই হোক, আইলিগ থেকে জিতেন্দ্র-র আইএসএল-এর উড়ান তাঁর কতটা মসৃণ হয়, সেটাই আপাতত দেখার।