ফের শহরে বসছে প্রো-কাবাডির আসর। শনিবার অর্থাৎ আগামিকাল থেকে নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে কাবাডির ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক লিগের সপ্তম সংস্করণের কলকাতা চ্যাপ্টার। চলবে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বাংলার দল বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স এই মুহূর্তে ১২ দলীয় টুর্নামেন্টের লিগ তালিকায় চার নম্বরে। তাদের ঝুলিতে ৪০ পয়েন্ট। একে রয়েছে দাবাং দিল্লি (৫৪), দুয়ে বেঙ্গালুরু বুলস (৪৩), তিনে হরিয়ানা স্টিলার্স (৪১)।
বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স ঘরের ম্য়াটে প্রথম ম্য়াচে খেলবে গত মরসুমের ফাইনালিস্ট গুজরাত ফরচুন জায়ান্টসের বিরুদ্ধে। আর তারপরের দিন পুনেরি পল্টনদের বিরুদ্ধে খেলা। এই মরসুমে বাংলার দল গুজরাতকে ২৮-২৬ হারিয়েছে আহমেদাবাদে। এমনকী মুম্বইতে পুণের টিমকে তারা ৪৩-২৩ উড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ধোনিকেই নিয়েই কাবাডির টিম বানাতে চান কোহলি
প্রো-কাবাডি সেভেনে এখনও পর্যন্ত বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স ডজন ম্য়াচ খেলে ছ'টি জিতেছে, চারটি হেরেছে ও দু'টি ম্য়াচ টাই হয়েছে। দেখতে গেলে বেশ ভাল ফর্মেই রয়েছেন মনিন্দর সিং অ্যান্ড কোং। বাংলার এই স্টার রেডর এই মরসুমে দলের ক্য়াপ্টেন হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মনিন্দর এবং বাংলার অর্জুন পুরস্কার জয়ী কোচ বিসি রমেশ শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। মনিন্দর বলে দিলেন যে, ক্য়াপ্টেন হওয়াটা তাঁর কাছে মোটেই বাড়তি চাপের নয়, তিনি তাঁর নিজের খেলাটাই চালিয়ে যাবেন। কলকাতার ফ্য়ানেদের সমর্থনে দুর্দান্ত ফলের ব্য়াপারে আশাবাদী তিনি। জানিয়ে দিলেন তাঁদের শুরুটা ভাল হয়েছে। আপাতত প্লে-অফে পাখির চোখ দলের। চ্য়াম্পিয়ন হওয়ার জন্য়ই এবার ঝাঁপাবে টিম।
আরও পড়ুন: শীতের রাতকে থোড়াই কেয়ার! কলকাতা বলছে কাবাডি…কাবাডি…
এবছর প্রো-কাবাডির নিলামের সময় বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের একটা সিদ্ধান্ত সকলকে চমকে দিয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার রেডর জ্য়াং কুন লি-কে তারা ধরে রাখেনি। পাটনা পাইরেটস লি-কে ৪০ লক্ষ টাকায় তাঁকে দলে নিয়েছে। এই লি কিন্তু শেষ ছ'মরসুম ছিলেন বাংলা ওয়ারিয়র্সের সঙ্গে। টিমের অন্য়তম সেরা যোদ্ধা ছিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে লি-ই সবচেয়ে বেশি স্কোর করা (৪৩৩ পয়েন্ট) বিদেশি। মনিন্দরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তিনি কি লি-র অভাব বোধ করছেন না? বাংলার ক্য়াপ্টেন বলছেন, "লি নিঃসন্দেহে খুব ভাল প্লেয়ার। কিন্তু ওর পরিবর্তে যারা খেলছে তারাও যথেষ্ট ভাল। অনেক নতুন মুখ রয়েছে।"
বিসি রমেশ বলছেন যে, তাঁর দলে এবার সবচেয়ে বড় নাম ইরানিয়ান অলরাউন্ডার মহম্মদ ইসমাইল নবিবকস্। নিলামে নবিবকস্ ছিলেন সকলের নজরে ১০ লক্ষ টাকার বেসপ্রাইজে থাকা এই খেলোয়াড়ের জন্য় বাংলা ৭৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা খরচ করে দলে নিয়েছে। তিনিই এই মরসুমের সবচেয়ে দামি বিদেশি। রমেশ বলছেন, "আমাদের টিমে নবিবকস্ রয়েছে। কে প্রপানজন, সুকেশ হেগড়ে রয়েছে। এটা বলতে পারি সেরা রেডররা কিন্তু আমাদের টিমেই রয়েছে। এবছর আমাদের জেতার খুব ভাল সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা চ্য়াম্পিয়ন হবই। আমরা যে ক'টা ম্য়াচ হেরেছি সেখানে মূলত ধৈর্য্যের অভাব ছিল, দলের বন্ডিংয়ের কিছু সমস্য়াও হয়েছে। কিন্তু এবার আমরা আশাবাদী ভাল ফল করবই।"