Rabi Hansda: পুলিশের চাকরি পেলেন রবি, ছেলের গর্বের দিনে মায়ের চোখে জল, মমতাকে দুহাত ভরে দিলেন আশীর্বাদ

Bengal Footballer Rabi Hansda: ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সন্তোষ ট্রফির সর্বোচ্চ স্কোরার এখন রবি হাঁসদা। শুধু তাই নয়, রবির করা একমাত্র গোলে এই বছরের শুরুতেই সন্তোষ ট্রফিতে জয়জয়কার ঘটে বাংলার।

Bengal Footballer Rabi Hansda: ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সন্তোষ ট্রফির সর্বোচ্চ স্কোরার এখন রবি হাঁসদা। শুধু তাই নয়, রবির করা একমাত্র গোলে এই বছরের শুরুতেই সন্তোষ ট্রফিতে জয়জয়কার ঘটে বাংলার।

author-image
Pradip Kumar Chattopadhyay
New Update
Rabi Hansda: ফুটবলে বাংলাকে ভারত সেরা করার পুরস্কার পেলেন ফুটবলার রবি হাঁসদা

Rabi Hansda: ফুটবলে বাংলাকে ভারত সেরা করার পুরস্কার পেলেন ফুটবলার রবি হাঁসদা

Rabi Hansda gets Police Job: কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফুটবলে বাংলাকে ভারত সেরা করার পুরস্কার পেলেন ফুটবলার রবি হাঁসদা। আনুষ্ঠানিকভাবে চাকরি পেলেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে। সাত দিনের প্রশিক্ষণ শেষ করে রবি হাঁসদা বৃহস্পতিবার কলকাতার ব্যারাকপুরের লাটবাগানে এএসআই ফাস্ট ব্যাটালিয়ন পদে যোগ দিলেন। ছেলে রবি পুলিশে চাকরি পাওয়ায় মা তুলসীদেবী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 

Advertisment

ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সন্তোষ ট্রফির সর্বোচ্চ স্কোরার এখন রবি হাঁসদা। শুধু তাই নয়, রবির করা একমাত্র গোলে এই বছরের শুরুতেই সন্তোষ ট্রফিতে জয়জয়কার ঘটে বাংলার। এতবড় জয়ের কাণ্ডারী রবির পাশে রাজ্য সরকার দাঁড়াক, এমন আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রেখেছিলেন রবির মা তুলসীদেবী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিরাশ করেননি রবি হাঁসদার মাকে। রবি হাঁসদা-সহ সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা ফুটবল দলের সকল খেলোয়াড়দের জন্য মুখ্যমন্ত্রী চাকরির ঘোষণা করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণা মতোই রবি পেলেন পুলিশের চাকরি । 

বাংলার ফুটবল তারকা রবি হাঁসদার বাড়ি মঙ্গলকোট থানার মুশারু গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় বাড়ি। মঙ্গলকোটের সাঁওতা বাসস্ট্যাণ্ডের কাছাকাছি খেলার মাঠ। ১০ বছর বয়সে ভাতারের বলগোনা স্কুলে ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় থেকেই রবি ফুটবলে মজে যায়। মুশারু আদিবাসীপাড়া মিলন সংঘ ক্লাব এই মাঠেই ফুটবল চর্চা করেন রবি। ৬-৭ বছর বয়স থেকেই এই মাঠে ফুটবল খেলা শুরু তার। ১২ বছর বয়সে ভাতারে একাদশ অ্যাথলেটিক্স ক্লাবের ফুটবল কোচিং ক্যাম্পে ভর্তি করে দেওয়া হয় আর্থিক অনটনের মধ্যেই। তখন থেকেই প্রশিক্ষণের শুরু। ভাতার একাদশ ক্লাবের তৎকালীন ফুটবল প্রশিক্ষক মুদরাজ সেডেনের কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করে রবি। সেডেনের হাত ধরেই রবির ফুটবল জীবনের ভাগ্য বদলাতে শুরু করে।

আরও পড়ুন কাঁদিয়ে চলে গেলেন ইস্টবেঙ্গলের তারকা ফুটবলার, ময়দানে নামল শোকের ছায়া

Advertisment

রবির বাবা সুলতান হাঁসদা পেশায় ছিলেন জনমজুর। তিনি স্বপ্ন দেখতেন তাঁর ছেলে রবি একদিন বড় ফুটবলার হবে।। হৃদরোগের কারণে সুলতান জনমজুরি আর করতে পারতেন না। তিনি ঋণ নিয়ে একটি টোটো কিনে ভাড়া খাটাতেন সুলতান। কিন্তু ছেলের সাফল্য তিনি নিজের  চোখে আর দেখে যেতে পারেননি। বছর দুয়েক আগে হৃদ্‌‌রোগে মারা যান তিনি। মা তুলসী হাঁসদা জনমজুরি করে সংসার সামলান। তবুও তুলসীদেবী ছেলেকে কখনও মাঠে কাজ করতে পাঠাননি। রবির অনুশীলনে ঘাটতি চাননি তিনি।
সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে রবির গোলেই কেরলকে হারিয়ে বাংলা চাম্পিয়ান। 

রবি হাঁসদা জানিয়েছেন,মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়ে কথা  রেখেছেন। যতদিন আমি খেলতে পারব ততদিন পুলিশের চাকরি করলেও খেলার জন্য ছুটি পাব। খুশি রবির মা তুলসী হাঁসদা। তিনি বলেন, এরপর আমাদের দুঃখের দিন শেষ হবে। ছেলে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেওয়ায় তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনিও বলেন,“মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমার ছেলেকে পুলিশের চাকরি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের পরিবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে“। 

রবির মা তুলসীদেবী চোখের জল মুছতে মুছতে এদিন বলেন, এতদিন মাঠের কাজে একদিন না গেলে বাড়িতে হাঁড়ি চড়ত না। এবার হয়তো একটু সুদিন ফিরবে। তুলসীদেবীর এক ছেলে এবং এক মেয়ে। রবির বোন রাসমণির বিয়ে হয়ে গিয়েছে।

West Bengal Police Mamata Banerjee Rabi Hansda