DMK Afzal East Bengal: বুধবার (৭ মে) কলকাতা ফুটবল ময়দানে নামল শোকের ছায়া। শেষ নিঃশ্বাস ত্য়াগ করলেন ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন মিডফিল্ডার ডিএমকে আফজল। বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে। পরিবারে একমাত্র তাঁর স্ত্রী'ই রয়েছেন।
একটা সময় ভারতীয় ফুটবল দলের জার্সিতে মাঝমাঠ কাঁপাতেন আফজল। ১৯৬২ সালে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় আয়োজিত এশিয়ান গেমসে তিনি ভারতীয় ফুটবল দলের হয়ে সোনার পদক জয় করেছিলেন। টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে দুটো ম্য়াচ খেলার সুযোগ পান আফজল। ১৯৬২-র এশিয়াডে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে ডেবিউ করেছিলেন তিনি।
Mamata Criticizes East Bengal: ইস্টবেঙ্গলের কাটা ঘায়ে নুন মমতার, কাদের দেখে শিখতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
শোকবার্তা কল্যাণ চৌবের
আফজলের মৃত্যুতে কার্যত শোকাহত হয়ে পড়েছেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে (Kalyan Choubey tribute)। তিনি জানিয়েছেন, 'একটা সময় দেশের অন্যতম সেরা মিডফিল্ড জেনারেল ছিলেন ডিএমকে আফজল। প্রত্যেকটা ম্য়াচেই ফুটবলের প্রতি তাঁর আবেগ এবং নিষ্ঠা চোখে পড়ার মতো ছিল। এই কঠিন সময়ে আমি ওঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।'
Johnny Acosta East Bengal: তারকা বিশ্বকাপার, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সই করিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল! কেন লাল-হলুদ ছেড়েছিলেন জনি অ্যাকোস্টা?
ক্লাব ফুটবলে নজিরবিহীন সাফল্য
শুধুমাত্র জাতীয় দলই নয়, রাজ্য এবং ক্লাবভিত্তিক ফুটবলেও তিনি যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছিলেন। ১৯৬৫ সালে অন্ধ্র প্রদেশের হয়ে সন্তোষ ট্রফি জয় করেন আফজল। এর পাশাপাশি অন্ধ্র পুলিশ ক্লাবের হয়েও খেলতেন তিনি। এই ক্লাবের জার্সিতেই ১৯৬১ সালে ডুরান্ড কাপ, ১৯৬২ সালে (যুগ্ম বিজয়ী) রোভার্স কাপ এবং ১৯৬৫ সালে ডিসিএম ট্রফি জয় করেন।
Mehtab on East Bengal: শতাব্দী প্রাচীন ইস্টবেঙ্গলের এই দুর্দশা কেন? কারণ জানিয়ে দিলেন মিডফিল্ড জেনারেল
এরপর তিনি কলকাতায় চলে আসেন। যোগ দেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। এই ক্লাবের হয়ে তিনি একাধিক সাফল্য অর্জন করেছেন। কলকাতা ফুটবল লিগ (১৯৬৬), আইএফএ শিল্ড (১৯৬৬), রোভার্স কাপ (১৯৬৭), ডুরান্ড কাপ (১৯৬৭), শেঠ নাগজি ট্রফি (১৯৬৮), কেরালা এফএ শিল্ড (১৯৬৮) এবং বরদলুই ট্রফি (১৯৬৮) জয় করেন।