মোহনবাগানের আইলিগ জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন। কিবু ভিকুনার অন্যতম অস্ত্র ছিলে ফ্রান গঞ্জালেজ। তিনি এবার সই করলেন বেঙ্গালুরু এফসিতে। মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করেও উপেক্ষার পাত্র হয়েছিলেন। মাস দুয়েক আগেই তোপ দেগেছিলেন তিনি।
সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে রীতিমত আগুন উগরে দিয়েছিলেন। বলে দিয়েছিলেন, চুক্তির এখনো এক বছর বাকি থাকা সত্ত্বেও ক্লাবের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর একাধিকবার তিনি ও তাঁর এজেন্ট ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সাড়া পাননি। এমনও অভিযোগ করেন।
আরো পড়ুন: গর্বের দিবসেই ‘অশালীন’ মোহন সমর্থকরা, ইস্টবেঙ্গলকে হেয় করে কলঙ্কের ‘কীর্তি’
মোহনবাগান চলতি মরশুমে এটিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আইএসএল খেলবে। আইলিগ জয়ী একাধিক ফুটবলার তো বটেই কিবু ভিকুনাকেও রাখেনি সবুজ মেরুন। কিবুর ঠিকানা হয়েছে কেরল ব্লাস্টার্স।
মোহনবাগানের জার্সিতে ক্লাবের সর্বোচ্চ স্কোরার হন ফ্রান গঞ্জালেজ। সেনেগালিজ পাপা দিয়ারার সঙ্গেই যুগ্মভাবে সেরা গোলদাতা হন। দুজনেই ১০টি করে গোল করেছিলেন। কিবু ভিকুনা একাধিকবার ফ্রান গঞ্জালেজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন। রক্ষণ হোক বা মাঝমাঠ- যে কোনো পজিশনে খেলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করতেন তিনি। মাঝমাঠে জোসেবা বেইতিয়া কিংবা রক্ষনে ফ্রান মোরান্তের সঙ্গে জুটি বেঁধে বহু ম্যাচ উতরেছেন ক্লাবকে।
মোহনবাগানের সঙ্গে প্রকাশ্যে সমস্যার পর কোচ কিবু ভিকুনার সঙ্গে কেরালা যাওয়া একসময় প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল। তবে সেই চুক্তি আর বাস্তবায়িত হয়নি। শেষ পর্যন্ত গঞ্জালেজের ঠিকানা হল বেঙ্গালুরু এফসি। সেখানে গুরু হিসাবে পাশে পাবেন অন্য স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতকে।
গঞ্জালেজের সঙ্গেই এদিন বেঙ্গালুরু সই করালো ৬ ফুট ২ ইঞ্চির নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড ক্রিস্টিয়ান অপসেথকে। এদিন ফ্রান মোরান্তেকে সই করিয়ে কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত বলেন, ওর অন্তর্ভুক্তি স্কোয়াডের শক্তি ও ভারসাম্য বাড়াবে। ভারতীয় ফুটবলে ও বেশ অভিজ্ঞ। গতবার ট্রফিও জিতেছে।
মোহনবাগানের উপেক্ষা গঞ্জালেজকে আইএসএলে ফুল ফোটাতে সাহায্য করে কিনা সেটাই দেখার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন