ফের একবার বিতর্ক দগ্ধ কলকাতা ফুটবল মহল। গৌরবের দিনেও বিতর্ক পিছু ছাড়ল না মোহনবাগানের। রবিবারে পুজোর আমেজ মাখা সকালে সবুজ মেরুন ক্লাবের হাতে আইলিগ জয়ের ট্রফি তুলে দিয়েছিল ফেডারেশন। আবেগের সুনামি বয়ে গিয়েছিল সবুজ মেরুন সমর্থকদের মধ্যে। এমন উৎসবের আবহে বাইপাস থেকেই মোহন জনতার আবেগের মিছিল শুরু হয়।
তবে এমন আলোকোজ্জ্বল দিনেও কালো দাগ হয়ে থেকে গেল কিছু অত্যুৎসাহী মোহনবাগান সমর্থকের কীর্তি। শ্যামবাজার থেকে আবেগের মিছিল বিধান সরণি হয়ে চলছিল। অভিমুখ ছিল ধর্মতলা এবং পরিশেষে মোহনবাগান তাঁবু।
আরো পড়ুন: পুজোর আগেই যেন পুজো! আইলিগের ট্রফি পেয়ে উল্লাসে মাতোয়ারা মোহনবাগান
সেখানেই যত কীর্তি। আবেগের আতিশয্যে বেশ কিছু মোহনবাগান সমর্থক একটি লাল হলুদ বাক্স বয়ে নিয়ে চলেছিলেন। মুখে স্লোগান ছিল, 'বল হরি হরি বোল'। সরাসরি ইস্টবেঙ্গলকে কটূক্তি না করলেও লাল হলুদ রঙে রাঙানো বাক্স যে ইস্টবেঙ্গলের প্রতি ইঙ্গিতপূর্ণ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ইস্টবেঙ্গলের 'মরদেহ' যেন বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এমন ব্যঙ্গমেশানো অভিব্যক্তি নিয়েই বিতর্ক দানা বাঁধল। শুধু তা-ই নয়, বিজয় মিছিল থেকেও শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে চলল হরেক বিদ্রুপের ছররা। সেলিব্রেশনের আড়ম্বর কেন পড়শি ক্লাবকে কটূক্তিতে মিশিয়ে হবে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে ময়দানি মহল।
দুধে চোনা ফেলার মত এই ঘটনা বাদ দিলে, মোহনবাগান কিন্তু এই বিশেষ দিন দারুণভাবে স্মরণীয় করে রাখল। বাইপাস সংলগ্ন পাঁচতারা হোটেলে ফেডারেশনের সিইও সুনন্দ ধর মোহনবাগান কর্তাদের হাতে তুলে দিলেন সুদৃশ্য আইলিগ ট্রফি। মোহন কর্তাদের মধ্যে হাজির ছিলেন স্বপনসাধন বসু, সৃঞ্জয় বসু, দেবাশিষ দত্ত, অঞ্জন কন্যা সোহিনী মিত্র এবং জামাতা কল্যাণ চৌবে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও।
ট্রফি পাওয়ার পরই শহরজুড়ে রালি বের করে মোহনবাগান জনতা। যেখানে ভালোলাগা, ভালবাসা, প্রাপ্তি মিলে মিশে একাকার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন