ফিরোজ শাহ কোটলায় কেন অরুণ জেটলির মূর্তি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই এবার দিল্লি এন্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট এসোসিয়েশন (ডিডিসিএ)-র সদস্যপদ ছাড়লেন কিংবদন্তি স্পিনার বিষেন সিং বেদি। সেই সঙ্গে কড়া ভাষায় চিঠি লিখে জানিয়ে দিলেন, তাঁর নামাঙ্কিত প্যাভিলিয়ন থেকে যেন তাঁর নাম মুছে ফেলা হয়।
বিজেপির অর্থমন্ত্রী ছিলেন অরুণ জেটলি। এনডিএ সরকারের মন্ত্রীত্বের পাশাপাশি ক্রিকেট প্রশাসনেও তাঁর অবাধ যাতায়াত ছিল। ১৯৯৯-২০১৩ টানা ১৪ বছর ডিডিসিএ সভাপতি ছিলেন তিনি। গত বছর একাধিক শারীরিক সমস্যা নিয়ে মৃত্যু ঘটে তাঁর।
আরো পড়ুন: শামির জন্য অজি ক্রিকেটে ডামাডোল, প্রকাশ্যেই চ্যাপেলকে ধুয়ে দিলেন স্মিথ
প্রয়াত ক্রিকেট প্রশাসককে সম্মান জানাতেই কোটলায় তাঁর ছয় ফুটের মূর্তি প্রতিস্থাপন করা হয়। তারপরেই বতর্মান ডিডিসিএ প্রেসিডেন্ট রোহন জেটলি (অরুণ জেটলির পুত্র)কে চিঠি দিয়েছেন বেদি।
সেই চিঠিতেই বেদি লিখেছেন, "একজন ধৈর্য্যশীল এবং শান্ত মানুষ হিসাবে নিজে গর্ববোধ করি। তবে আমার আশঙ্কা আমার ধৈর্য কমে আসছে। ডিডিসিএ আমার পরীক্ষা নিয়ে এই চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে। মিস্টার প্রেসিডেন্টের কাছে আমার অনুরোধ যে স্ট্যান্ডের নামের সঙ্গে আমার নাম লেখা রয়েছে, তা যেন অবিলম্বে মুছে ফেলা হয়। সেইসঙ্গে আমি ডিডিসিএ মেম্বারশিপও ত্যাগ করলাম।" প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মহিন্দর অমরনাথের সঙ্গেই বেদির নামে স্ট্যান্ডের নামকরণ করা হয়।
বেদি সেইসঙ্গে আরো জানান, "অনেক ভাবনা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার উপর যে সম্মান আরোপ করা হয়েছিল, তা তৎক্ষণাৎ ঝেড়ে ফেলতে চাইনা। তবে সম্মানের সঙ্গে অনেক দায়িত্ববোধ জন্মায়। যে শ্রদ্ধা এবং সততা নিয়ে খেলতাম, সেই জন্যই আমাকে সম্মানিত করা হয়েছিল। তবে এখন এই সম্মান ফিরিয়ে দিচ্ছি। এটা বোঝানোর জন্য যে অবসরের চার দশক পরেও সেই মূল্যবোধ আমার কাছে সম্মানের।"
কেন এই সুবিশাল পদক্ষেপ, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন নিজেই। বলে দিয়েছেন, "যে দ্রুততা ও তৎপরতার সঙ্গে ফিরোজ শাহ কোটলার নাম বদলে অরুণ জেটলির নামে করা হল, তখন নিজেকে বুঝিয়েছিলাম, পরে হয়ত সুবুদ্ধি ফিরে আসবে। তবে কতটাই না ভুল ছিলাম! এখন প্রয়াত অরুণ জেটলির মূর্তি বসানো হচ্ছে। কোনোভাবেই এটা বরদাস্ত করতে পারব না।"
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন