ইন্দো-অজি শুরুর আগে থেকেই বিতর্ক চলছিল পিচ নিয়ে। অস্ট্রেলীয়দের তরফ থেকে বারবার পিচ নিয়ে মন্তব্যে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছিল মাঠে বল গড়ানোর আগেই। আর নাগপুরে প্ৰথম টেস্টের প্ৰথম দিনেই বেনজির বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে গেল ভাইরাল এক ভিডিওকে কেন্দ্র করে।
ভাইরাল হয়ে যাওয়া সেই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে রবীন্দ্র জাদেজা নিজের এক বোলিং ওভারের মাঝে সিরাজের হাত থেকে ডান হাতে কিছু একটা নিচ্ছেন। তারপরে সম্প্রচারকারী চ্যানেলের ক্যামেরায় দেখানো হয়, তারকা অলরাউন্ডার কিছু একটা জিনিস নিজের আঙুলে ঘষছেন।
বিতর্কের সূত্রপাত ঘটিয়ে যে ভিডিওয় টিম পেইন লিখে দেন, 'ইন্টারেস্টিং'। তার আগে টিম পেইনকে এক সেই ভিডিওয় ট্যাগ করে এক টুইটার ইউজার লিখে দেন, 'এই ভিডিও নিয়ে তোমার বক্তব্য কী? কিছু একটা কুচি জাদেজাকে দিল সিরাজ। তারপরে সেটা গোটা স্পিনিং ফিঙ্গারে ঘষে নিল। কিছু বলবেন?' ফক্স স্পোর্টসের পোস্ট রিট্যুইট করে প্রশ্ন তুলেছেন মাইকেল ভন-ও।
বিতর্কের শুরু হতেই যদিও টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, হাতে ক্রিম লাগাচ্ছিলেন। এই ঘটনা নিয়ে অনেকে চোখ কপালে তুললেও ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আইসিসির নিয়ম বহির্ভূত কিছু করা হয়নি। যা করা হয়েছে, নিয়মের মধ্যে থেকেই।
আরও পড়ুন: ফিরেই ম্যাজিক, অস্ট্রেলিয়াকে নাচিয়ে নায়ক জাদেজা! ১৭৭-এ ধ্বংস ক্যাঙারুরা
ম্যাচ আধিকারিকদেরও গোটা ঘটনা সন্দেহের উদ্রেক করেনি। অনেক ব্যাটসম্যানই হাতের তালু আর্দ্র রাখার জন্য ক্রিম ব্যবহার করেন। জাদেজা বহুদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেন। ইনডেক্স ফিঙ্গারের নমনীয়তা বজায় রাখার জন্য জাদেজা এমনটা করতেই পারেন। পুরোটাই আইসিসির নিয়মের মধ্যেই রয়েছে।
ঘটনা যাইহোক, প্ৰথম টেস্টের প্রথম দিনেই নায়ক রবীন্দ্র জাদেজা। গত বছর জুলাইয়ে শেষ টেস্ট খেলেছিলেন তারকা অলরাউন্ডার। তারপরে মার্কি এই ইভেন্টে কামব্যাক করলেন স্মরণীয় পারফরম্যান্স করে। ২২ ওভারে প্ৰথম দিনে মাত্র ৪৭ রান খরচ করে তুলে নেন ৫ উইকেট।
নিজের স্টক বল যেমন সঠিকভাবে প্রয়োগ করলেন। তেমন ডানহাতি ব্যাটারদের থেকে বল দূরে টার্ন করানো হোক, এছাড়া অড বল তো রয়েইছে যা ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করে আচমকা উইকেটে ঢুকে যায়। স্মিথ, লাবুশানেকে যেভাবে আউট হলেন। জাদেজার ঘূর্ণিতেই প্রথম দিন মাত্র ১৭৭-এ ভেঙে পড়ল অস্ট্রেলিয়া। ভারত ব্যাট করতে নেমে দিনের শেষে ৭৭/১। রোহিত শর্মা হাফসেঞ্চুরি করে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন!
Read the full article in ENGLISH