Bus driver locks players: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে অর্থসংকটের জেরে দুর্বার রাজশাহি টিমে ঘটল নজিরবিহীন ঘটনা। খেলোয়াড়দের কিট আটকে রেখেছেন বাসচালক। বিদেশি খেলোয়াড়রা আটকে আছেন হোটেলে। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা। ওয়েবসাইট অনুযায়ী মহম্মদ হারিস (পাকিস্তান), আফতাব আলম (আফগানিস্তান), মার্ক ডেল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), রায়ান বার্ল (জিম্বাবুয়ে) ও মিগুয়েল কামিন্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)-সহ দলের বিদেশি খেলোয়াড়রা ঢাকার হোটেলে আটকে আছেন। খবরে প্রকাশ, টিম ম্যানেজমেন্ট অর্থ প্রদানের কোনও সময়সীমা ধার্য করেনি। বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে কয়েকজন তাঁদের প্রাপ্য অর্থের ২৫ শতাংশ পেয়েছেন। বাকিরা সেটাও পাননি। দলের কয়েকজন স্থানীয় খেলোয়াড়রা বেতন না পেয়ে টিম হোটেল ছেড়ে চলে গিয়েছেন।
ব্যাপারটা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে খেলোয়াড়রা অনুশীলনে নামেননি। বিদেশি খেলোয়াড়রা গ্রুপ-পর্বের ম্যাচে খেলবেন না বলে জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যদিও বলেছিল যে তারা হস্তক্ষেপ করবে, কিন্তু তারা প্রতিশ্রুতি রাখেনি বলেই জানা গিয়েছে। দুর্বার রাজশাহি চলতি বিপিএল মরশুমে ৬ষ্ঠ স্থানে আছে। তাদের অর্থসংকট এমন দাঁড়িয়েছে যে দলের বিদেশি ক্রিকেটাররা এখন হোটেল ছাড়তে পারলে বাঁচেন। কিন্তু, অর্থের জন্য তাঁরা সেটাও পারছেন না।
এই প্রসঙ্গে বিসিবির এক কর্তা বলেন, 'আমি রাজশাহির মালিকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তিনি বলছেন যে বকেয়া টাকা মেটানোর চেষ্টা করছেন। গতকালই, বাংলাদেশের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তাঁর সঙ্গে দেখা করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বকেয়া শোধ করতে অনুরোধ করেছিলেন। রাজশাহির মালিক তাতে রাজি হয়েছেন। ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে খেলোয়াড়দের ৭৫ শতাংশ পাওনা দেওয়ার কথা ছিল। বাকিটা ৮ মার্চের মধ্যে শোধের কথা। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত রাজশাহি এখন সেটা পারবে না বলেই জানা যাচ্ছে। এটা লজ্জার ব্যাপার।'
আরও পড়ুন- টি২০-র বদলি বিতর্ক নিয়ে সাফাই গম্ভীরের, বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা ভারতের হেড কোচের
শুধু এ-ই নয়। বিপিএলে অর্থ সংকট দেখা দেওয়ায় বাসচালক খেলোয়াড়দের কিটসও আটকে রেখেছেন। খেলোয়াড়রা তাতে বিপাকে পড়েছেন। বাসচালক জানিয়েছেন যে, দলের থেকে অর্থ না পেলে কিটস দেবেন না। টিম হোটেলের সামনে সাংবাদিকদের রাজশাহির বাসচালক মহম্মদ বাবুল বলেন, 'এটা দুঃখ এবং লজ্জার ব্যাপার। কিন্তু, যদি ওরা আমাদের টাকা দিয়ে দিত, তাহলে আমরা খেলোয়াড়দের কিটব্যাগ দিয়ে দিতাম। এখনও পর্যন্ত আমি মুখ খুলিনি। কিন্তু এখন বলছি যে যদি ওরা আমাদের বেতন দিয়ে দেয় তাহলে আমরা বাসকর্মীরা কিটব্যাগ ফেরত দিয়ে চলে যাব।' সোমবার, এই অর্থ না দেওয়ার মামলায় রাজশাহির মালিক শফিককে আটক করেছিল পুলিশ। তার মধ্যেই তিনি ফের ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সমস্ত বকেয়া পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।