করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে চাইছে সিএবি। অতিমারীর কারণে বঙ্গ ক্রিকেট এসোসিয়েশনের অধিকাংশ টুর্নামেন্ট এবার স্থগিত হয়ে গিয়েছে। দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ের টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব হলেও বিদ্যালয়, কলেজ, বাকি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তঃজেলা টুর্নামেন্টগুলির ভবিষ্যত কী হতে চলেছে তা ঠিক হবে আসন্ন বৈঠকে।
আসন্ন মরশুমের প্রস্তুতি হিসাবে পিচের মাটি তুলে নতুন করে তা বানানো হচ্ছে। সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া জানান, "মরশুম শুরু করার বিষয়ে এখনো কোনো নিশ্চয়তা নেই। তবে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে যাতে দ্রুত মরশুম শুরু করা যায়, সেইজন্যই অগ্রিম ব্যবস্থা করে রাখা। পরবর্তীকালে যাতে অপ্রয়োজনে সময় নষ্ট না হয়, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। অন্যান্য বারের তুলনায় এবারের পিচ পরিদর্শনের কাজ আরও আগে শুরু করা হবে। সম্প্রতি আইএফএ-র সঙ্গে দারুন একটা বৈঠক হয়েছে।"
সাইক্লোন আমফান তাণ্ডবলীলা চালানোর পর সিএবি ফ্লাডলাইট, ইলেকট্রনিক্স বিভিন্ন প্রযুক্তি, স্কোরবোর্ড ঠিকঠাক আছে কিনা, তা এখনো স্বল্প সংখ্যক ম্যানপাওয়ার নিয়ে খতিয়ে দেখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সিএবি।
আরও পড়ুন: পরিস্থিতি আরো খারাপ, শ্রীলঙ্কা সিরিজ বাতিল করল বোর্ড
সিএবির সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, "সাইক্লোন হওয়ার পর এই প্রথমবার ফ্লাডলাইট জ্বালানো হলো। প্রাথমিকভাবে সব কিছু ঠিকঠাকই রয়েছে। ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি দেখভাল করার দায়িত্বে যে সংস্থা রয়েছে, তাদের বলা হয়েছে, সবকিছু পরীক্ষা করে যেন পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেয়।"
সেই সঙ্গে তিনি আরো জানান, "এই মরশুম শেষ। পরের মরশুম কবে শুরু করা সম্ভব হবে, তা এখনও নিশ্চিত নই। তবে আশা করছি, খুব দ্রুত ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমরা জয়ী হয়ে পরের মরশুম শুরু করতে পারব। তাই ভবিষ্যতে যদি পরিস্থিতি অনুকূল হয়, শিগগিরই যাতে খেলা শুরু করা যায়, সেইজন্য অগ্রিম প্রস্তুতি।"
এদিকে, করোনা পরবর্তী সময়ে রাজ্যে খেলাধুলা শুরু করার সম্ভবনা খতিয়ে দেখতে শুক্রবারই ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ১৬টি স্পোর্টস এসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। ফুটবল ও ক্রিকেট লিগ সমান্তরালে চালানো হলে যাতে কোনো সংঘাতের পরিস্থিতির উদ্ভব না হয়, সেইজন্য আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়ার।
ময়দানের সমস্ত মাঠ আসলে সেনাবাহিনীর অধীনে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছ থেকে লিজে বিভিন্ন ক্রীড়াসংস্থাকে দেওয়া হয়েছে ময়দান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন