পরের মাসে ডেভিস কাপ খেলতে ভারত পাকিস্তানে রওনা হবে কিনা, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নিজস্ব কোনও মতামতই নেই। সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু। কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক যখন ফের একবার তলানিতে। এমন আবহেই ডেভিস কাপে দুই দেশের টাই ঘিরে আতঙ্কের চোরাস্রোত বইছিল। সর্বভারতীয় টেনিস সংস্থার পক্ষ থেকে পরোক্ষে জানানো হয়েছিল, নিউট্রাল ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজন করা হোক। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশাবলীর জন্যও অপেক্ষা করা হচ্ছিল। তারপরেই কিরেন রিজিজু এক অনুষ্ঠানে এসে জানিয়ে দিলেন, "যদি এটা দ্বিপাক্ষিক কোনও সিরিজ হত, তাহলে তা হত রাজনৈতিক বিষয়। তাহলে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে কিনা, তা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় হত। তবে ডেভিস কাপ কোনও দ্বিপাক্ষিক বিষয় নয়। বিশ্ব টেনিস সংস্থার আয়োজিত টুর্নামেন্ট।"
আরও পড়ুন
পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, "ভারত অলিম্পিক চার্টারের অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা জাতীয় ক্রীড়াসংস্থার টেনিস দলের অংশগ্রহণ করার বিষয়ে কোনওকিছু বলার থাকতে পারে না।"
সেপ্টেম্বরেই ইসলামাবাদে ডেভিস কাপের টাই হওয়ার কথা। ৫৫ বছর পরে পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় টেনিস খেলোয়াড়দের খেলার কথা। ভারতের পক্ষ থেকে বারবার নিউট্রাল ভেন্যুতে ম্যাচ খেলিয়ে টাই রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। তিন দিন আগেই অল ইন্ডিয়া টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সচিব হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, "আন্তর্জাতিক টেনিস সংস্থার কাছে চিঠি লেখার পরিবর্তে আমরা আপাতত দু-দিন পরিস্থিতি উন্নতি হয় কিনা, তার উপরে নজর রাখব। শেষ কয়েকদিন যেভাবে কাশ্মীর ইস্যু প্রকাশ্য়ে এসেছে তা যথেষ্ট সংবেদনশীল। যদি পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন না হয় এবং ওদেশে যাওয়ার উপরে সমস্যা তৈরি হয়, তাহলে আইটিএফ-কে চিঠি লিখে ম্যাচ কোনও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজন করার অনুরোধ করা হবে।"
তবে ঘটনা হল, রবিবারেই পাকিস্তানি টেনিস সংস্থার পক্ষ থেকে আবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয়টি তাঁরা কোনওভাবেই মেনে নেবে না। কারণ ইসলামাবাদে ইতিমধ্যেই সমস্ত রকমের প্রস্তুতি সারা। এমন পরিস্থিতিতেই সর্বভারতীয় টেনিস সংস্থা রীতিমতো দ্বিধায়।
Read the full article in ENGLISH