একই রাতে ফুটবল গ্রহের দুই সেরা নক্ষত্র চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরীক্ষায় বসেছিলেন। লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দিকে চোখ ছিল আপামোর ফুটবল দুনিয়ার। একজন স্টার মার্কস নিয়ে পাশ করলেন। আরেকজন ফেল করে গেলেন। যে রাতে বিধাতা মেসিকে হাসালেন সে রাতে তিনি রোনাল্ডোকে কাঁদালেন। মেসি ম্যাজিকে বার্সেলোনা পৌঁছে গেল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে। অন্যদিকে রোনাল্ডো গোল করেও পারলেন না জুভেন্তাসকে পরের ধাপে নিয়ে যেতে। আজাক্সের কাছে হেরেই ইউরোপ সেরার আসর থেকে ছিটকে গেল জুভেন্তাস।
মঙ্গলবার ন্যু ক্যাম্পে শেষ আটের ফিরতি পর্বে মেসিরা নেমেছিল ম্যান ইউয়ের বিরুদ্ধে। প্রথম লেগে বার্সেলোনা ১-০ গোলে জয় পেয়েছিল ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। এদিন ঘরের মাঠে মেসিরা ৩-০ গোলে জিতল। দু'লেগ মিলিয়ে ৪-০ জিতে সেমিফাইনালে উঠল বার্সা। এর আগে টানা তিনবার কোয়ার্টার ফাইনালে হারতে হয়েছিল কাতালান ক্লাবটিকে। ম্যাচের ১৬ ও ২০ মিনিটে ব্যাক-টু-ব্যাক গোল করেন মেসি। এই টুর্নামেন্টে মেসি সর্বোচ্চ ১০টি গোল করলেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পেলেন ১১০ নম্বর গোল। চলতি মরসুমে সব মিলিয়ে ৪৫ গোল করা হয়ে গেল লিওর। ম্যাচের তৃতীয় গোলটি আসে ফিলিপ কুটিনহোর পা থেকে। ম্য়াচের ৬১ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের গোলই ম্যাঞ্চেস্টারের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেয়।
????Good morning ???? pic.twitter.com/1BlEluJLET
— FC Barcelona (@FCBarcelona) April 17, 2019
আরও পড়ুন: শেষ আটের লড়াইয়ে রোনাল্ডো-মেসিরা খেলবেন কাদের সঙ্গে?
FULL-TIME: It ends here. Congratulations to @AFCAjax_EN ????#JuveAjax pic.twitter.com/mjlJlpjsvY
— JuventusFC (@juventusfcen) April 16, 2019
অন্যদিকে রোনাল্ডোর জুভেন্তাস প্রথম লেগে আজাক্সের মাঠে কষ্টার্জিত ড্র করেছিল। সিআর সেভেনের হাত ধরেই তারা স্বপ্ন দেখেছিল শেষ চারে ওঠার। আপামর জুভেন্তাসের ফ্যানেরা ভেবেছিলেন যে টুর্নামেন্টের সম্রাট তাঁদেরকে ঘরের মাঠেই জয় এনে দেবে। ম্যাচের ২৮ মিনিটে রোনাল্ডোর গোলে জুভেন্তাস এগিয়ে গিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু আজাক্স শেষ পর্যন্ত ২-১ জিতেই ১৯৯৬-৯৭ সালের পর ফের একবার টুর্নামেন্টের শেষ চারে উঠল। শেষ তিন বছর টানা রিয়াল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতিয়েছিলেন সিআর সেভেন। সেই মানুষটাই টুর্নামেন্টে থেকে বেরিয়ে গেলেন। সেই ২০০৭ সাল থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল খেলছেন রোনাল্ডো। শুধুমাত্র ২০১০ সালে পারেননি তিনি। আবার ২০১৯-এ রোনাল্ডোর জায়গা হলো না এই টুর্নামেন্টের শেষ চারে।