Shoaib Akhtar on Champions Trophy and PCB: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। কিন্তু, ভারতের সেই প্রস্তাব নিয়ে প্রথমে রাজি হচ্ছিল না পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ইস্যুতে মুখ খুললেন প্রাক্তন পাকিস্তানি বোলার তথা রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস নামে পরিচিত শোয়েব আখতার। তিনি বলেছেন, 'হাইব্রিড মডেল নতুন কিছু নয়। এই মডেলে আগেও খেলা হয়েছে।' তবে, পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারত এবং আইসিসির পরামর্শ মেনে নেওয়া পর মুখ খুলেছেন শোয়েব।
শোয়েব দাবি করেছেন যে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য হাইব্রিড মডেল নিয়ে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই মডেলে, ভারতের সমস্ত ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে হবে। বাকি ম্যাচগুলি হবে পাকিস্তানে। হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাবটি বিসিসিআই আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসিকে জানিয়েছিল। ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য ভারত সরকারের থেকে ছাড়পত্র পায়নি। বিসিসিআই তারপরই ইসলামাবাদের অস্থিরতার প্রেক্ষিতে আইসিসিকে হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দেয়। তার আগে, পিসিবি পুরো টুর্নামেন্ট পাকিস্তানে আয়োজন করার ব্যাপারে অনড় ছিল। এই অনমনীয়তার জন্য পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের অধিকারও হারাতে বসেছিল।
পাকিস্তানের একটি মিডিয়া চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলার সময় শোয়েব আখতার পিসিবির হাইব্রিড মডেলকে মেনে নেওয়ার প্রশংসা করেছেন। শোয়েব বলেছেন, 'পিসিবি ট্রফি আয়োজনের দায়িত্ব পাচ্ছে। আয়োজনের অর্থ পাচ্ছেন। তবে তো ঠিকই আছে। পাকিস্তানের অবস্থান যুক্তিসঙ্গত। পাকিস্তান কেন দৃঢ় অবস্থান বজায় রাখবে না? আমরা আমাদের দেশে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করব। তারা (ভারত) আসতে চাইছে না। ওদের উচিত আমাদের সঙ্গে উচ্চহারে অর্থ ভাগ করে নেওয়া।'
আরও পড়ুন- ভিডিওয় দেখলাম পন্থ ড্রামেবাজি করছে! লখনৌয়ের ক্যাপ্টেন হওয়ার ইঙ্গিতে বোমা ফাটালেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা
শুধু এটুকু বলেই থামেননি শোয়েব। তিনি বলেছেন, 'ভবিষ্যতে ভারতে খেলার ক্ষেত্রে, আমাদের বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। আমি সবসময়ই বিশ্বাস করি, ভারতে গিয়ে সেখানে তাদের হারিয়ে আসা উচিত। তাদের হোম গ্রাউন্ডেই তাদের হারানো উচিত। তাই হাইব্রিড মডেল নিয়ে কোনও অসুবিধা নেই। এই মডেলে তো ইতিমধ্যেই খেলা হয়েছে।' এর আগে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আইসিসি এবং বিসিসিআইয়ের দাবি মেনে নিয়েছে পাকিস্তান। বদলে তারা জানিয়েছে, ২০৩১ সাল পর্যন্ত ভারতে আয়োজিত কোনও বহুজাতিক টুর্নামেন্টে তারা অংশ নেবে না। সেক্ষেত্রেও হাইব্রিড মডেলেই খেলার আয়োজন করতে হবে।