Advertisment

হ্যামস্ট্রিং ছেঁড়া পূজারার জন্য এই কাণ্ড শাহরুখের! বিদেশে বাবার সঙ্গে মিলিয়ে জল এনে দেন চোখে

শাহরুখ দিল জিতে নিয়েছিলেন পূজারার

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
NULL

শাহরুখ মানেই মুশকিল আসান। বলিউডের বেতাজ বাদশা তিনি। তবে ক্রিকেটের সঙ্গে তাঁর কানেকশন বহু পুরোনো। আইপিএলে কেকেআর ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক তিনি। আইপিএলে দলের খেলা দেখতে প্রায়ই তাঁকে দেখা যায় ইডেনের গ্যালারিতে। দলকে চিয়ার করার হাজির হয়ে যান কলকাতাতেই। এছাড়াও টিম ইন্ডিয়াকে সমর্থন করতে দেখা যায় সুপারস্টারকে।

Advertisment

শাহরুখকে নিয়ে এবার বড়সড় খবর দিলেন চেতেশ্বর পূজারার বাবা অরবিন্দ পূজারা। ২০০৯-এ কেকেআরের হয়ে খেলার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন পূজারা। পূজারার চোটের সেই প্রসঙ্গ সম্প্রতি জানিয়েছেন পিতা অরবিন্দ পূজারা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ নিজের কলামে পূজারার পিতা লিখেছেন, "কেকেআরের হয়ে খেলতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাকে দেখে পূজারার চোখে জল এসে গিয়েছিল। আমরা চেয়েছিলাম চিন্টু (পূজারা) রাজকোটে এসে প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার করুক। তবে শাহরুখ ওঁকে দক্ষিণ আফ্রিকাতেই অস্ত্রোপচার করাতে চাইছিল। ওঁর কথায় যুক্তিও ছিল। রাগবি প্লেয়াররা হামেশাই এরকম চোট আঘাতের শিকার হয়। তাই ওখানকার চিকিৎসকরা এরকম ইনজুরির বিষয়ে ভালোই ওয়াকিবহাল।"

আরও পড়ুন: তিন মাস আগেও ক্যাপ্টেন ছিলেন টিম ইন্ডিয়ার! এখন চিরতরে বাদ পড়ে মুষড়ে পড়লেন সুপারস্টার

আর আহত পূজারার সঙ্গে তাঁর পরিবারের দেখা করার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন স্বয়ং শাহরুখ। পাসপোর্ট সংক্রান্ত যাবতীয় পেপার ওয়ার্ক শাহরুখ সেরে রেখেছিল। যাতে করে অরবিন্দ পূজারা দ্রুত ছেলের কাছে পৌঁছতে পারেন।

অরবিন্দ পূজারা লিখেছেন, "শাহরুখের যুক্তি ছিল চিন্টুর ক্রিকেটীয় ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। তাই সেরা চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে হবে ওঁর। আমাদের আস্থা অর্জন করতে চিকিৎসক শাহ সহ আমাদের গোটা পরিবারকে দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। আমার পাসপোর্ট ছিল না। তাই ডক্টর শাহকে একাই দক্ষিণ আফ্রিকায় যেতে বলি। তবে শাহরুখ আমাকেও সেই ট্রিপে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে। দ্রুত সমস্ত পেপারওয়ার্ক সারা হয়। তারপরে সাউথ আফ্রিকায় পৌঁছে যাই।"

আরও পড়ুন: সবসময় সৌরভের নিন্দা করে বেড়াত কোহলি! স্টিং ভিডিওয় বিষ্ফোরক স্বীকারোক্তি প্রধান নির্বাচকের

"আমাকে দেখার পর চিন্টুর মুখের হাসি এখনও মনে রয়েছে। বিদেশে ও কার্যত একা পড়ে গিয়েছিল। দিনের পর দিন একটা হোটেলের রুমে বন্দি থাকতে হয়েছিল। টিমের বাকিরা অন্য শহরে ম্যাচ খেলতে পাড়ি দিয়েছিল। ফোনে ওঁর গলা শুনে অবসাদগ্রস্থ লাগছিল। আমাকে দেখার পর ওর মুখের আনন্দ স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম। দোলায় বসা খুশি খুশি চেহারার সেই খুদেকে মনে পড়ে যাচ্ছিল।"

Read the full article in ENGLISH

IPL SRK Birthday KKR cricket
Advertisment