হকির জগতের তিনি কিংবদন্তি। ১৯৪৮, ১৯৫২ এবং ১৯৫৬ সালের অলিম্পিকে সোনাজয়ী ভারতীয় হকি দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫৬ সালের মেলবোর্ন অলিম্পিকে ভারতীয় হকি দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন বলবীর সিং। খেলোয়াড় ছাড়া ম্যানেজার হিসেবেও তিনি স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। ১৯৭৫ সালে বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় হকি দলের ম্যানেজার ছিলেন বলবীর সিং সিনিয়র। ওই ইভেন্টে ভারতের সোনা জয়ে তিনি অবদান উল্লেখযোগ্য।
এমন প্রবাদপ্রতিম হকি তারকাই দীর্ঘদিন অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ভারত রত্ন দেওয়ার আবেদন জানালেন খোদ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লিখলেন তিনি। নিজের চিঠিতে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী লিখলেন, "বলবীর সিংকে ভারতরত্ন দেওয়ার বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। স্বাধীনতার পরে ভারতের অন্যতম শ্রদ্ধেয় এবং দুরন্ত ক্রীড়াবিদ বলবীর সিং। হকি দলের একজন কিংবদন্তি শ্রী বলবীর সিং। উনি ১৯৪৮, ১৯৫২ এবং ১৯৫৬ অলিম্পিকে দেশের হয়ে সোনা জিতেছিলেন। ১৯৫৬ সালে উনি অধিনায়কও ছিলেন অলিম্পিকে।"
আরও পড়ুন শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় বলবীর সিং
এরপরে মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, "ওঁর অবদানের জন্যই উনি ১৯৫৭ সালে পদ্মশ্রী পেয়েছেন। তবে এই মুহূর্তে ওঁকে ভারতরত্ন দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।"
২০১২ সালে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থার তরফে ১৬ জন কিংবদন্তিকে স্থান দেওয়া হয়েছিল আধুনিক অলিম্পিকের ইতিহাসে। একমাত্র ভারতীয় হিসেবে সেই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলেন বলবীর। এখনও পর্যন্ত অলিম্পিকের আসরে ফিল্ড হকির ফাইনালে সর্বোচ্চ গোল করার নজির রয়েছে বলবীরেরই। ১৯৫২ সালে হেলসিঙ্কিতে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকে ভারত নেদারল্যান্ডসকে ৬-১ গোলে হারিয়ে সোনা জেতে। সেই ম্যাচে একাই পাঁচ গোল দিয়েছিলেন বলবীর।