বাইশ গজে অবলীলায় ছক্কা হাঁকানোর জন্যই বিখ্যাত ক্রিস গেইল। ক্যারিবিয়ান দৈত্য এবার আইনী লড়াইতেও ওভার বাউন্ডারি মেরে জিতলেন। নিউ সাউথ ওয়েলস স্টেট হাই কোর্টে মানহানির মামলায় জয়ী হলেন তিনি। ৩ লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কৃত করা হল তাঁকে। ভারতীয় মুদ্রায় যা ২ কোটি ১০ লক্ষ ৬১ হাজার ৫০০ টাকার সমতুল্য।
২০১৬-র জানুয়ারিতে গেইলকে নিয়ে একাধিক চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশ করে হয়েছিল সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, ক্যানবেরা টাইমস ও মেলবোর্ন এজের মতো দৈনিকে। যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ভিত্তিক ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়া দাবি করে যে, ২০১৫-র বিশ্বকাপ চলাকালীন অস্ট্রেলীয় মহিলা ম্যাসাজ থেরাপিস্ট রেনে রাসেলকে গেইল নিজের গোপনাঙ্গ দেখিয়ে কুরুচিকর প্রস্তাব দেন।
আরও পড়ুন: আফ্রিদির সঙ্গে সর্বাধিক ছক্কার যুগ্ম মালিকানা এখন গেইলের
এই খবরেই নড়ে গিয়েছিল ক্রিকেটবিশ্ব। কিন্তু গেইল এই সংবাদ ভুয়ো বলেই সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে বসেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার আদালতে ফেয়ারফ্যাক্সের মিডিয়ার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেন। এই মামলার রায়ই এবার সামনে এসেছে। যেখানে নির্দোষ বলে প্রমাণিত হয়েছেন গেইল। ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়াকে এখন এই পুরো টাকাটাই দিতে হবে গেইলকে। যদিও ফেয়ারফ্যাক্স আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের আবেদন করবে বলেই জানিয়েছে। তাঁদের স্বচ্ছ বিচার হয়নি বলেও মন্তব্য করেছে।
গেইলের মানহানি মামলার পরেই চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি গেইলের বিরুদ্ধে ফেয়ারফ্যক্সের আনা অভিযোগের কোনও সত্যতা পাননি। ফেয়ারফ্যাক্স অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও নির্ভরযোগ্য প্রমাণ দিতে পারেনি। তাদের তথ্য উপস্থানপনেও সেরকম মজবুত ভিত্তি ছিল না। কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরেই রায়দান হয়। বিচারক লুসি ম্যাকালাম জানিয়েছেন, এরকম ভিত্তিহীন রিপোর্ট গেইলের মতো একজন ক্রিকেটারের কাছে অত্য়ন্ত সম্মানহানিকর।
অতীতে মহিলাঘটিত একাধিক কাণ্ডেই নাম জড়িয়েছিল গেইলের। এমনকি বাড়িতে স্ট্রিপ ক্লাব খুলেও খবরের শিরোনামে এসেছিলেন টি-২০ ফর্ম্যাটের কিং। ম্যাসাজ থেরাপিস্ট ঘটনাই গেইলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রভাব ফেলেছিল। জাতীয় দলের নির্বাচকরা তাঁকে ব্রাত্য়ই রেখেছিলেন।