Para Athletics: জিতেও বাদ প্রতিযোগী! কেন এমন ভয়ংকর পরিস্থিতি প্যারা অ্যাথলেটিক্সে?

Learn about the classification process in Para Athletics, including eligibility criteria, assessment stages, and why athletes may face disqualification. মঙ্গলবার থেকে দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে বিশ্ব প্যারা-অ্যাথলেটিক্স গ্র্যান্ড প্রিক্স আয়োজিত হবে। তিন দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় ২০টি দেশের ২৫০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করবেন।

Learn about the classification process in Para Athletics, including eligibility criteria, assessment stages, and why athletes may face disqualification. মঙ্গলবার থেকে দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে বিশ্ব প্যারা-অ্যাথলেটিক্স গ্র্যান্ড প্রিক্স আয়োজিত হবে। তিন দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় ২০টি দেশের ২৫০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করবেন।

author-image
IE Bangla Sports Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Para-Athletics: ভারত আসন্ন প্যারা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় বড় সাফল্যের আশা করছে

Para-Athletics: ভারত আসন্ন প্যারা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় বড় সাফল্যের আশা করছে। (ছবি- এক্সপ্রেস)

Understanding Classification in Para Athletics and Why Athletes Face Disqualification: সংবাদমাধ্যমের সৌজন্যে প্যারা অ্যাথলেটিক্স শব্দটার সঙ্গে আজকাল সকলেরই পরিচিতি বেড়েছে। কিন্তু, অনেকেই এখনও জানেন না যে, প্যারা অ্যাথলেটিক্সে নানারকম শ্রেণিবিভাগ আছে। আর, সেই শ্রেণিবিভাগের জন্য, অনেক প্রতিযোগীই জিতেও প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যেতে বাধ্য হন। এত কথা বলার কারণ, ভারত আগামী মঙ্গলবার থেকে দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে বিশ্ব প্যারা-অ্যাথলেটিক্স গ্র্যান্ড প্রিক্স আয়োজন করবে। তিন দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় ২০টি দেশের ২৫০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করবেন।

Advertisment

প্যারা অ্যাথলেটিক্সে শ্রেণিবিভাগ বলতে কী বলা হচ্ছে?

প্যারা অ্যাথলেটিক্সে শ্রেণিবিভাগ হল এমন একটি প্রক্রিয়া, যা ঠিক করে দেয়, কোন ক্রীড়াবিদ একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় নামবেন, তা। এই শ্রেণিবিভাগ, ন্যায্য প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে একইস্তরের শারীরিক সক্ষমতা সম্পন্ন অ্যাথলেটদের প্রতিযোগিতায় নামার সুযোগ দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

শ্রেণিবিভাগের মানদণ্ড কী কী?

Advertisment

একজন প্যারা-অ্যাথলেটকে টুর্নামেন্টে নামার যোগ্য হতে গেলে, তাঁর—

  1. একটি স্থায়ী স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকতে হবে, এবং
  2. প্রতিবন্ধী হওয়ার ন্যূনতম মানদণ্ড বা যোগ্যতা পূরণ করতে হবে।

এক্ষেত্রে, কম উচ্চতার অ্যাথলেটদের জন্য যেমন সর্বোচ্চ উচ্চতা কত হতে পারে, তা ঠিক করা আছে। তেমনই, আবার অঙ্গহানির ক্ষেত্রেও কাকে অঙ্গহানি ধরা হবে, তারও নির্দিষ্ট সংজ্ঞা রয়েছে।

প্যারা-অ্যাথলেটিক্সে খেলোয়াড়দের শ্রেণিবিভাগ কীভাবে করা হয়?

প্যারা-অ্যাথলেটিক্সে শ্রেণিবিভাগ তিন ধরনের প্রতিবন্ধিতার ভিত্তিতে করা হয়:

  1. শারীরিক প্রতিবন্ধকতা
  2. দৃষ্টিশক্তি প্রতিবন্ধকতা
  3. বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধকতা

শ্রেণিবিভাগের তিনটি ধাপ থাকে:

  1. শারীরিক মূল্যায়ন:

    • একজন রেজিস্টার্ড ফিজিওথেরাপিস্ট বা চিকিৎসক ১০টি নির্দিষ্ট মাপকাঠির ভিত্তিতে অ্যাথলেটদের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করেন।
    • বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধিতার ক্ষেত্রে দৌড় ও লাফানোর মত খেলার-নির্দিষ্ট পরীক্ষা নেওয়া হয়।
  2. কারিগরি মূল্যায়ন:

    • অ্যাথলেটদের কৌশল বা দক্ষতা যাচাই করা হয়, দেখা হয় সেটা তাঁর দাবি করা প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না।
    • কোনও অসঙ্গতি থাকলে অ্যাথলেট অযোগ্য ঘোষিত হতে পারেন।
    • বুদ্ধিবৃত্তির প্রতিবন্ধিতার ক্ষেত্রে, অ্যাথলেটদের একটি কমপিউটারভিত্তিক বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষা দিতে হয়।
  3. পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়ন:

    • যেসব প্রতিবন্ধকতার জন্য নির্দিষ্ট শ্রেণিবিভাগ নেই, সেগুলোর জন্য মাঠে পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণ করা হয়।
    • মেরুদণ্ডের আঘাত যুক্ত প্রতিবন্ধকতাকে পরিবর্তনশীল শ্রেণিভুক্ত করা হয়, আর অঙ্গহানি বা ছোট উচ্চতাকে প্রতিবন্ধকতার নির্দিষ্ট শ্রেণিতে রাখা হয়।

আরও পড়ুন- ক্রাচ বগলে নিয়েই দলের অনুশীলনে 'মিস্টার ডিপেন্ডেবল'! রয়্যালস কোচকে দেখে চক্ষু ছানাবড়া রাজস্থান সমর্থকদের

delhi Sports News sports Jawaharlal Nehru Sports Others stadium