"মোহনবাগানের মাটি সোনার থেকেও খাঁটি।" "মোহনবাগানের কথা মনে পড়লে মায়ের কথা মনে পড়ে যায়।" বুধবার মোহনবাগানের তাঁবুতে দাঁড়িয়ে এভাবেই আবেগবিহ্বল হয়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবুজ মেরুন তাঁবুতে মুখ্যমন্ত্রীর পদার্পন ঘটেছিল নতুন ক্লাব তাঁবু নির্মাণের জন্য। সেখানে নতুনভাবে সেজে ওঠা মোহনবাগান তাঁবুকে ঘিরে যেমন নস্ট্যালজিয়ায় ভাসলেন তিনি। সেইসঙ্গে দিলেন দিলেন খেলা হবে দিবসের বড়সড় আপডেট।
Advertisment
তিনি ময়দানের তিন প্রধানেরই পৃষ্ঠপোষক। মোহনবাগান ক্লাব তাঁবুতে যেমন তাঁর অবাধ জটায়াজ তেমনই ইস্টবেঙ্গল এবার ইমামি ইনভেস্টর পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য। তাঁর দাদা অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্টবেঙ্গল কর্মসমিতির সদস্য। মহামেডানের উন্নতিতেও প্রত্যক্ষ অবদান রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
নিজের ফুটবল প্রেমের কথা খোলসা করতে গিয়ে মোহনবাগান তাঁবুতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, "আমার মা মোহনবাগানের সমর্থক। দাদাকে দেখতাম ইস্টবেঙ্গল করতে। পরিবারের কেউ কেউ মোহনবাগান করে, কেউ আবার ইস্টবেঙ্গল। মহামেডান স্পোর্টিংয়ের কেউ নেই। তাই আমি মহামেডান স্পোর্টিংও করি।"
Advertisment
মা গায়ত্রী দেবী প্রয়াত হয়েছেন বেশ কয়েক বছর হল। মুখ্যমন্ত্রীর মায়ের স্মৃতি উথলে উঠল সবুজ মেরুন তাঁবুতে পা দিয়ে। স্মৃতি হাতড়ে মুখ্যমন্ত্রী বলে গেলেন, "পেলে যেবার এসেছিল, সেবার বাংলা উথালপাতাল হয়ে গিয়েছিল। মাকে সেবার দেখেছিলাম কালীঘাটে পুজো পাঠাতে। মোহনবাগানের খেলা থাকলেও মা নিত্য কালীঘাটে পুজো দিতেন, রেডিও নিয়ে বসে পড়তেন।"
মুখ্যমন্ত্রী নিজের ফুটবল প্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ব্যক্তি বিশেষকে নয়, চলতি বছরেই তিন প্রধানকে বঙ্গবিভূষণ সম্মানে পুরস্কৃত করেছিলেন। বারবার তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে ময়দানি ফুটবল।
মোহনবাগানের তাঁবুর উন্নতির জন্য ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যও ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সদ্য শেষ হওয়া কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাকে গর্বিত করেছেন হাওড়ার অচিন্ত্য শিউলি এবং কলকাতার সৌরভ ঘোষাল। ভারোত্তোলনে অচিন্ত্য সোনা জিতেছেন। স্কোয়াশে সৌরভ দেশকে এনে দিয়েছেন ব্রোঞ্জ। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন খেলা হবে দিবসে দুজনকেই আর্থিক সাহায্য করা হবে। অচিন্ত্য এবং সৌরভকে দেওয়া হবে যথাক্রমে ৫ এবং ২ লক্ষ টাকা।