Sundar turned the tide for India: ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের মুখে হাসি ফোটালেন ওয়াশিংটন সুন্দর। চার বছরেরও বেশি সময় পরে তাঁর প্রথম টেস্ট ম্যাচে কেরিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স করলেন তামিলনাড়ুর এই বোলার। পুনেতে ভারত-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে ৫৯ রানে নিলেন ৭ উইকেট। গত রবিবার, দলে চার স্পিনার থাকা সত্ত্বেও, সুন্দরকে দ্বিতীয় টেস্টে স্কোয়াডে নেওয়ার কথা জানান নির্বাচকরা। পুনেতে প্রথম দিনের সকালে, কুলদীপ যাদবের জায়গায় একাদশে তাঁর অন্তর্ভুক্তি ছিল এক সাহসী পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপ নিয়ে ভারত যে ভুল করেনি, দিনের শেষে সুন্দরের পারফরম্যান্সে সেটাই প্রমাণিত হল।
চেন্নাইয়ে, মঙ্গলবার ওয়াশিংটনকে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত বল করতে দেখে, প্রাক্তন ভারতীয় খেলোয়াড় এবং কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম কিন্তু অবাক হননি। তাঁর আশা, রিস্ট-স্পিনার কুলদীপের চেয়েও সুন্দর অলরাউন্ডার হিসেবে ভারতকে বেশি সাফল্য দেবেন। দুই বছর আগেই লখনউ সুপার জায়ান্টস ডাগআউট এবং বোর্ড রুমে বসে ওয়াশিংটন সম্পর্কে গম্ভীরের সঙ্গে কথা বলেছিলেন শ্রীরাম। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে শ্রীরাম বলেন, 'জিজি (গম্ভীর) আসার পর থেকে, ওয়াশিকে সব ফরম্যাটে নিয়মিত ব্যবহার করা শুরু করেন। কারণ, গম্ভীর মনে করেন যে সুন্দরকে আরও খেলানো উচিত।'
শ্রীরাম বলেন, 'গৌতম সবসময় বিশ্বাস করত যে ওয়াশিংটনের প্রতিভা বহুমুখী। ও ভালো ব্যাটার। একইসঙ্গে ভালো বোলার। গৌতম জানে ওকে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়। ভারতীয় পিচে, রিস্ট-স্পিনারের চেয়ে ফিঙ্গার স্পিনার বেশি কার্যকর। সুন্দর ওঁর প্রতি ভরসার প্রতিদান দিয়েছে।' অভিষেকের পর চোটের জন্য আইসিসি হোয়াইট-বলের প্রতিটি টুর্নামেন্ট মিস করেছেন তামিলনাড়ুর এই বোলার। চোট কাটিয়ে কতটা কী খেলতে পারবেন, তা নিয়েও স্পষ্ট ধারণা ছিল না।
সুন্দরের তারিফ করে শ্রীরাম বলেন, 'ও একজন ইউটিলিটি খেলোয়াড়। একজন ব্যাটার হিসেবে যে কোনও পজিশনে খেলতে পারে। একজন বোলার হিসেবেও সব ফরম্যাটে খেলতে পটু। ওর বহুমুখী প্রতিভা। সুযোগ পেলেই বিকাশ ঘটাতে পারবে।' আইপিএলের পর থেকে শ্রীরাম এবং এম সেন্থিলনাথনের কোচিংয়ে সুন্দর এমআরএফ পেস ফাউন্ডেশনে লাল বলে খেলার প্রস্তুতি নেন। ওয়াশিংটনকে এমআরএফ এবং গ্লোব ট্রটার্সে কোচিং করিয়েছেন শ্রীরাম। তিনি বলেছেন, 'আইপিএলের পরে ও প্রশিক্ষণের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে ওঁকে যা বলেছিলাম, আইপিএলের পরেও তাই বলেছি। বারবার বলেছি যে স্পিনে মন দাও। বলের উচ্চতা এবং বাউন্স ওঁর বড় শক্তি। পুনেতে ও সেটাই কাজে লাগাচ্ছে। পিচ থেকে যতটা সাহায্য পাওয়া যায়, সেই সাহায্যটাই নিচ্ছে।'
আরও পড়ুন- নেটেই কুপোকাত কোহলি! অপরিচিত বোলারের দাপটে কিংবদন্তির দুরবস্থা দেখে চোখে জল বিরাট ভক্তদের
লাল বলে সুন্দরের প্রশিক্ষণ ব্যাপক কাজে এসেছে এই বোলারের। প্রথম ডিভিশনের চার ম্যাচে নিয়েছেন ২১ উইকেট। তার মধ্যে ১০৬ রানে ৭ উইকেট শিকারও আছে। শুধু তাই নয়, একটা ম্যাচে পাঁচ উইকেটও নিয়েছেন। সেন্থিলনাথন বলেন, 'ও প্রচুর টি২০ খেলেছে। ধৈর্য এবং দীর্ঘ ফরম্যাটে বোলিং করার মানসিকতা অর্জন করেছে। শ্রীলঙ্কা সফর থেকে ফিরে এসেও সঙ্গে সঙ্গে লিগ ম্যাচ খেলেছে।' আর, সেটাই পুনেতে কাজে দিচ্ছে বলেই সেন্থিলনাথন মনে করছেন।