একই দিকে ঝাপাচ্ছেন দুই ব্যাটসম্যান। পাক ক্রিকেটে এমন বিব্রতকর দৃশ্য বারেবারে দেখা গিয়েছে। এবার জিম্বাবোয়ে বিরুদ্ধে প্রথম ওডিআইতেই 'চেনা' সেই দৃশ্য ফিরল। ক্রিজের একই দিকে রান নিতে ছুটলেন ইমাম উল হক এবং হ্যারিস সোহেল। ইনজামাম উল হক কতবার যে এমনভাবে আউট হয়েছেন। তার ভাইপো ইমামের হাত ধরে পাক ক্রিকেটে সেই ট্র্যাডিশন বহাল রইল।
ওডিআই ক্রিকেটের প্রাসঙ্গিকতা ফেরাতে আইসিসির তরফে ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ চালু করা হয়েছে। তার জন্যই এই সিরিজ খেলছে পাকিস্তান ও জিম্বাবোয়ে। রাওয়ালপিন্ডিতে জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাক ক্যাপ্টেন বাবর আজম।
আরো পড়ুন: ৯৯-এ আউট! হতাশায় ব্যাট ছুড়ে কড়া শাস্তির মুখে গেইল
হ্যারিস সোহেল এবং ইমাম উল হক দুজনেই হাফসেঞ্চুরি হাঁকান। পাকিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮১ তুলেছিল। ১১ রানের মাথায় লেগ বিফোর থেকে বাঁচেন তিনি। তারপর ৭৫ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে যান তিনি। তবে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার কিছুক্ষণ পরেই অদ্ভুত রান আউটের শিকার হন তিনি। তিনি এবং সোহেল দুজনেই স্ট্রাইকার এন্ডের দিকে ছুটে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
২৬ তম ওভারে সিকান্দার রাজার বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ঠেলে ক্রিজ থেকে সামান্য এগিয়ে ফিল্ডারের দিকে তাকিয়েছিলেন তিনি। ইমাম রান নেওয়ার জন্য কল না করলেও নন স্ট্রাইকিং এন্ড থেকে সিঙ্গলস নিতে ছুটে আসেন হ্যারিস সোহেল। এর পর দুজনেই একই দিকে রান আউট হওয়া থেকে বাঁচতে ঝাঁপিয়ে সুরক্ষিত থাকতে চান। ইমামকেই আউট হতে হয় শেষ পর্যন্ত।
এদিন পাকিস্তানের জার্সিতে অভিষেক ঘটে ফাস্ট বোলার হ্যারিস রউফের। ম্যাচ শুরুর আগে তাঁর আগে জাতীয় দলের ক্যাপ তুলে দেন বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিস। ম্যাচে পাকিস্তান ২৬ রানে জয়লাভ করে। দুই পেসার শাহিন আফ্রিদি এবং ওয়াহাব রিয়াজ নয় উইকেট ভাগাভাগি করে নেন।
জিম্বাবোয়েকে জয়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন ব্রেন্ডন টেলর। ১১২ করে যান তিনি। ওয়েসলি মাধভিরার সঙ্গে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপও গড়ে তুলেছিলেন তিনি। তবে শেষ দিকে ওয়াহাব এবং শাহিন আফ্রিদি দুরন্ত বোলিং করে পাকিস্তানকে জয় এনে দেন।
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন