ব্রাজিল: ১ (প্যাকুয়েতা)
চিলি: ০
১০ জনের ব্রাজিলই হাসতে হাসতে কোপার সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল। শক্তিশালী চিলি প্রতিপক্ষকে বেকায়দায় পেয়েও সুবিধা করতে পারল না। ১-০ গোলে জিতে শেষ চারে ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গ্যাব্রিয়েল জেসাস লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যায়। তা সত্ত্বেও ব্রাজিলের জয় আটকায়নি।
শেষ চারে সোমবার রিও ডি জেনেইরোর নিলটন স্যান্টোস স্টেডিয়ামে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ পেরু। যারা প্যারাগুয়েকে পেনাল্টি শুট আউটে হারিয়ে পরের রাউন্ডে ওঠা নিশ্চিত করল এদিনই।
আরো পড়ুন: একটাও গোল না করে সেমিফাইনালে স্পেন! সুইস প্রাচীরে ধাক্কা খেয়েও জয়
ব্রাজিল জিতলেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হল ম্যাচের পুরো ৯০ মিনিটই। ব্রাজিল টানা ১১টি ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়ে খেলতে নেমেছিল। অন্যদিকে, চিলি আবার গ্রুপ বি-তে কোনোরকমে চতুর্থস্থান নিয়ে পরের রাউন্ডে উঠেছিল। শেষ ছয় ম্যাচে চারটিতেই ড্র করেছিল আলেক্সিস স্যাঞ্চেজের দল।
ধারাবাহিকতায় ভুগতে থাকা চিলি যে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে সমস্যায় পড়বে, জানাই ছিল। যাইহোক, ঘটনাবিহীনভাবেই প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়েছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধের বাঁশি বাজার পরেই শুরু হয় ঘটনার ঘনঘটা। বিরতির পরেই পরিবর্ত হিসাবে নামা লুকাস পাকুয়েটা নেইমারের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান খেলে গ্যারি মেডেলকে কাটিয়ে দলকে এগিয়ে দেন। ক্লোজ রেঞ্জ থেকে গোল করে যান তিনি। তবে ঠিক এর দু-মিনিট পরেই ব্রাজিল শিবিরে বড়সড় ধাক্কা লাগে। ইউজিনো মেনাকে কুৎসিত কুংফু কিক করে লাল কার্ড দেখে মার্চিং অর্ডার পেয়ে মাঠ ছাড়েন গ্যাব্রিয়েল জেসাস।
ঘরের মাঠে ১০ জনের ব্রাজিল বেশ সমস্যায় পড়েছিল। চিলি সমতা সূচক গোলের খোঁজে টানা ব্রাজিলকে চাপে রাখে দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটাই। আলেক্সিস স্যাঞ্চেজের পরিবর্তে বিরতির পরে নামা ব্রেন ব্রেটনের হেড পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। তারপর ব্রাজিল গোলরক্ষক এডেরসন জোড়া সেভ করে চিলিকে গোল করা থেকে প্রতিহত করেন। এরপরে ব্রাজিল ডিফেন্সকে টলাতে না পেরেই ২০১৫ এবং ২০১৬-এর কোপা জয়ীরা বিদায় নেয়।
ম্যাচের পরে চিলির তারকা আরতুরো ভিদাল বলেন, "ঘরের মাঠে টুর্নামেন্টের ফেভারিটদের কাছে আমরা হেরেছি। আমরা মাথা উঁচু করেই বিদায় নিচ্ছি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন