একবার নয়, দু-বার নয়। তিনবার। তিনটে গোল করেছিল ব্রাজিল। ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে কোপা আমেরিকায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রাজিলের পক্ষে খেলার ফলাফল হতেই পারত ৩-০। তবে তিনবারই গোল বাতিল হয়। খেলার শেষে গোলশুন্য ড্র করে তাই হতাশা ব্রাজিল শিবিরে। প্রথম ম্যাচে বলিভিয়াকে উড়িয়ে দারুণভাবে অভিযান শুরু করেছিল সেলেকাও ফুটবলাররা। তবে পরের ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়ল তারা।
খেলায় আগাগোড়া দাপট ছিল ব্রাজিলের। আক্রমণের ঢেউ তুলেছেন ফির্মিনহো, কুটিনহোরা। তবে সেই ঢেউয়ে ভেসেও দিনের শেষে ভেনেজুয়েলা এক পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। ফুটবল ঈশ্বর সহায় নন এদিন। তাই তিনবার গোল করেও ফলাফল সেই গোলশুন্য। প্রথমার্ধের শেষদিক থেকে চালু এই ট্রেন্ড। রবার্তো ফির্মিনহো গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিতের দলকে। তবে ফাউলের কারণে সেই গোল বাতিল হয়ে যায়।
প্রথমার্ধে একবার। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দু-বার। প্রথমে গ্যাব্রিয়েল জেসাস ম্যাচের বয়স যখন ঘণ্টাখানেকের কাছাকাছি সেই সময়েই গোল করেন। তবে এবারেও ভিলেন সেই ফির্মিনহো। ভিডিও অ্যাসিট্যান্ট রেফারি জানিয়ে দেন, লিভারপুলের ফরোয়ার্ড অফসাইডে ছিলেন। গ্যাব্রিয়েল জেসাসের পরে ভুক্তভোগী ফিলিপ কুটিনহো। তাঁর গোলও বাতিল হয়ে যায়।
এদিন আক্রমণের রোলার কোস্টারে ব্রাজিল প্রতিপক্ষকে ভাসিয়ে দিলেও অবশ্য ফরোয়ার্ডরা একাধিকবার গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন। রিচার্লিসন গোল করতে পারছিলেন না। সহজ সুযোগ নষ্ট করেছিলেন। সেই কারণে দ্বিতীয়ার্ধে গ্যাব্রিয়েল জেসাসকে নামানো হয়। তিনিও গোলের খাতা খুলতে পারেননি। গোল নষ্টের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন ডেভিড নারেস ও ফির্মিনহো-ও। অন্যদিকে, ভেলেজুয়েলার ফরোয়ার্ড সলোমন রন্ডোনও ব্রাজিলের জালে বল ঠেলতে পারেননি।
গোল নষ্ট ও গোল বাতিলের এই প্রদর্শনীর কারণেই নির্ধারিত সময়ের খেলার শেষে ব্রাজিল বনাম ভেনেজুয়েলা ম্যাচ ০-০ ড্রয়ে শেষ হয়। দুই ম্যাচ শেষে ব্রাজিল অবশ্য লিগ তালিকার শীর্ষে রয়েছে। পেরু ও ব্রাজিল দুই দলেরই পয়েন্ট সমান-৪। তবে গোল পার্থক্যে এগিয়ে রয়েছে তিতের দল।