২৬ বছর ধরে কোপার ট্রফি হাতে ওঠেনি নীল-সাদা জার্সির। এবারে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে কোপায় প্রিয় দলের সাফল্য দেখতে উন্মুখ আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। তবে শুরুতেই হতাশ হতে হল তাঁদের। কলম্বিয়ার কাছে ০-২ হেরে কোপা অভিযান শুরু করল মেসি অ্যান্ড কোং। ইউরোপ কাঁপানো ফুটবলারদের তারকার কমতি নেই কলম্বিয়া বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচে। একদিকে, মেসি, অ্যাগুয়েরো, ডি মারিয়া। অন্যদিকে ফালকাও, অস্পিনা, হামেস রদ্রিগেজ। সেই ম্যাচে শেষ হাসি হাসল কলম্বিয়াই। কলম্বিয়ার হয়ে গোল রজার মার্তিনেজ এবং দুভান জাপাতার।
ব্রাজিল ২৪ ঘণ্টা আগেই জয় পেয়েছিল। বিরতির পরে তিন গোল জালে জড়ায় সেলেকাও তারকারা। সেই ট্রেন্ড বজায় থাকল দ্বিতীয় ম্যাচেও। প্রথমার্ধ গোলশুন্য থাকলেও বিরতির পরে কলম্বিয়ার গোল এল ৭১ ও ৮৬ মিনিটে। তবে ব্রাজিল প্রথমার্ধে গোল করতে ব্যর্থ হলেও সাম্বা ফুটবল মন মাতিয়েছিল। আর্জেন্টিনা ম্যাচে অবশ্য অন্য চিত্র। শ্লথ গতির ফুটবলে বিরক্তির উদ্রেক করলেন দু-দলের ফুটবলাররা।
আরও পড়ুন
‘অপয়া’ সাদা জার্সিতে ঝকঝকে ফুটবল ব্রাজিলের, জ্বলে উঠলেন মেসির সতীর্থ
মাদারের কলকাতা এখনও হৃদয়ে, সাক্ষাৎকারে অকপট মেসি-মারাদোনার আদরের ‘বুরু’
শুরুতেই অবশ্য কলম্বিয়া ব্যাকফুটে চলে যায় স্ট্রাইকার মুরিয়েল চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ায়। তাঁর পরিবর্ত হিসেবে নামা মার্তিনেজই অবশ্য ম্যাচের মোড় ঘোরালেন গোল করে। শ্লথ গতির ফুটবলে ৭০ মিনিট পর্যন্ত গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি দু-দল। প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে নড়েচড়ে বসেন মেসি, রদ্রিগেজরা। যাই হোক, মনে হচ্ছিল, গোলশূন্য ড্র-ই হয়তো ম্যাচের ভবিতব্য। তবে ৭১ মিনিটেই কাঙ্খিত গোল করে যান মার্তিনেজ। রদ্রিগেজের সহায়তায় বাঁ প্রান্ত থেকে জালে বল জড়ান তিনি। ৮৬ মিনিটে কলম্বিয়ার দ্বিতীয় গোলের নায়ক দুভান জাপাতা-ও পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন। দ্বিতীয় গোলের অ্যাসিস্ট জেফারসন লার্মা।
মার্তিনেজ, জাপাতার সঙ্গে কলম্বিয়ার রবিবারের জয়ের নায়ক গোলকিপার ডেভিড অস্পিনাও। একাধিক আক্রমণ প্রতিহত করলেন তিনি। মেসিকে নিজের চেনা ছন্দে পাওয়া না গেলেও বেশ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন। তবে সতীর্থরা কাজে লাগাতে পারেননি। সব আক্রমণ থেমে গিয়েছে লাস্ট লাইন অফ ডিফেন্স ডেভিড অস্পিনার কাছে গিয়ে। মেসি নিজেও অবশ্য গোল করতে পারতেন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে। তবে তাঁর শট লক্ষ্য়ভ্রষ্ট হয়।
৩ পয়েন্ট নিয়ে রদ্রিগেজরা মাঠ ছাড়ার পরে মেসি অবশ্য দমছেন না। জানিয়ে দিয়েছেন, কোপা সবে শুরু। পরের ম্যাচগুলোতে দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। ২০ তারিখে মেসিদের পরের ম্যাচ প্য়ারাগুয়ের বিরুদ্ধে। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে সেই ম্যাচে জিততেই হবে আর্জেন্টিনাকে।