জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন। তাই ব্যাট হাতে তাণ্ডব দেখানোর জন্য জেপি ডুমিনি বেছে নিলেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগকেই। বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের জার্সিতে নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মাত্র ১৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করে গেলেন তারকা ব্য়াটসম্যান। বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসকে টানা তিন নম্বর জয় উপহার দিলেন ডুমিনি। প্রোটিয়াজ তারকার কাছেই অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করে নাইট রাইডার্সের হার ৬৩ রানে।
১৫ বলে ৫০ সম্পূর্ণ করে ডুমিনির ব্যাট থেকে বেরোল ২০ বলে ৬৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। ডুমিনির পাশাপাশি ট্রাইডেন্টসের হয়ে অর্ধশতরান করে যান জনসন চার্লস (৫৮) এবং জোনাথন কার্টারও (৫১)। তিন তারকার হাফসেঞ্চুরিতে করে বার্বাডোজ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ১৯২ রান।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল ট্রাইডেন্টস। চার্লস ও কার্টারের দুর্ধর্ষ শুরু করে দিয়েছিলেন। প্রথম ১৪ ওভারেই ১১৪ রান তুলে ফেলেছিল ট্রাইডেন্টস। নারিন কার্টারকে ফেরানোর পরেই ক্রিজে আবির্ভাব ডুমিনির। তারপরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন তিনি। ২০ বলের ইনিংসে ৭টা ওভার বাউন্ডারি এবং ৪টে বাউন্ডারি হাকান তিনি। পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম পাঁচ বলে ডুমিনি করেছিলেন মাত্র ৩। এর অর্থ, পরের ১৭ বলে ডুমিনির ব্যাট থেকে বেরোয় ৬২ রান। প্রথম পাঁচ বলের পরের দশ বলেই হাফডজন ওভার বাউন্ডারি মেরেছিলেন।
এই রান তাড়া করতে নেমে নারিন ও লেন্ডল সিমন্স নাইট রাইডার্সকে ভাল শুরু দিয়েছিলেন। ওপেনিং পার্টনারশিপে ৪৪ তুলেছিলেন স্কোরবোর্ডে। তবে হোল্ডার ও হ্যারি গার্নির বলে দু-জনেই অল্প রানের ব্যবধানে আউট হয়ে যান। এর পরে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে নাইট বাহিনী। ১৭.৪ ওভারে ১২৯ রানে অল আউট হয়ে যায় শাহরুখের ফ্র্যাঞ্চাইজি।
Read the full article in ENGLISH