Sachin Tendulkar Turns 52: ভারতের ক্রিকেটের নার্সারি নামে পরিচিত শহর মুম্বাই। স্বপ্নের নগরী মুম্বাই, ড্রিম সিটি মুম্বাই, সেই শহর যেখানে স্বপ্ন পূরণ হয়। ইচ্ছাগুলোকে ডানা মেলে দেয়। এই শহরের মহারাষ্ট্রীয় ব্রাহ্মণ পরিবারে ২৪ এপ্রিল ১৯৭৩ সালে এক ছেলে জন্মগ্রহণ করেন। ৫২ বছর আগে জন্মানো এই সাধারণ কোঁকরা চুলের ছেলেকে আজ ‘ক্রিকেটের ঈশ্বর’ বলা হয়। আজ পুরো বিশ্ব বলছে, হ্যাপি বার্থডে শচীন তেন্ডুলকর।
রেকর্ডের বাদশাহ
১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাত্র ১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করার সময় কেউ ভাবেনি যে একদিন এই ছোটখাট ছেলে এই খেলায় তাঁর উচ্চতা সবচেয়ে বড় করে তুলবে। সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে গণ্য শচীন ১০০ আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করা বিশ্বের একমাত্র খেলোয়াড়।
সঙ্গীতকারের নামে নাম
আপনার মধ্যে অনেকেই হয়তো জানেন যে শচীনের নাম বিখ্যাত সঙ্গীতকার শচীন দেব বর্মনের নামে রাখা হয়েছে। শচীনের বাবা রমেশ তেন্ডুলকর বর্মনের বড় ভক্ত ছিলেন। এই তথ্য শুনে আপনি অবাক হতে পারেন যে মহান ব্যাটসম্যান শচীন একজন ফাস্ট বোলার হতে চেয়েছিলেন। বয়সের এই পর্যায়েও অত্যন্ত ফিট থাকা শচীন খাবারের বড় শৌখিন।
আরও পড়ুন বাবাকে দেওয়া কথা ভোলেননি শচীন, লোভে পা না দিয়ে ফিরিয়ে দেন ব্ল্যাঙ্ক চেক, কোনওদিন করেননি এ কাজ
অনেক মিথ্যা বলার পর বিয়ে
শচীনের বিয়ে হয়েছিল কোটিপতি গুজরাটি শিল্পপতি আনন্দ মেহতা এবং ব্রিটিশ সমাজকর্মী আনাবেল মেহতার মেয়ে অঞ্জলির সঙ্গে, যিনি তাঁর থেকে ছয় বছর বড় ছিলেন। তাঁদের সম্পর্ক লুকানোর জন্য তাঁরা অনেক মিথ্যা বলেছিলেন। ১৯৯৪ সালে নিউজিল্যান্ডে গোপনে এনগেজমেন্ট করার পর তাঁরা বিশ্বকে এ বিষয়ে জানিয়েছিলেন। অঞ্জলি একজন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ। একে অপরকে পাঁচ বছর ডেট করার পর এই দম্পতি সাতপাকে বাঁধা পড়েন। মেয়ে অঞ্জলি পড়াশোনা শেষ করে ব্যবসায় মনোনিবেশ করেছেন, আর ছেলে অর্জুন ক্রিকেটে কেরিয়ার গড়ার চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন ভারতীয় ক্রিকেটের 'ঈশ্বর', ঝুলিতে একাধিক মাইলস্টোন! BCCI-এর থেকে কত টাকা পেনশন পান সচিন?
ভারতরত্ন পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটার
শচীন তেন্ডুলকর ক্রিকেটে ভারতের জন্য অনেক বড় অর্জন এনে দিয়েছেন। তাঁর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং সাফল্যের জন্য সরকার তাঁকে ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ, রাজীব গান্ধী খেলরত্নের মতো সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। ২০১১ সালে ধোনির নেতৃত্বে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন শচীন। যদিও তিনি অবসর নিয়েছেন ১২ বছর আগে, তবুও আজও তিনি কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে বাস করেন।