/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/09/cricketer-death-1-2025-07-09-14-47-57.jpg)
ছবিটি প্রতীকী
Gordon Rorke Death: অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের (Australia Cricket Team ) প্রাক্তন পেস বোলার গর্ডন রোর্কে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। গর্ডন রোর্কের শারীরিক উচ্চতা অনেকটাই বেশি ছিল। সেকারণে তৎকালীন সময়ে তিনি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা পেস বোলার হিসেবে বিবেচিত হতেন। জানা গিয়েছে, গত ৫ জুলাই তিনি মারা (Cricketer Death) যান। ১৯৫৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ডেবিউ করেন গর্ডন রোর্কে। ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে অ্যাশেজ সিরিজে ২ ম্য়াচও খেলেছিলেন। রোর্কের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার একেবারেই সংক্ষিপ্ত ছিল। মাত্র ৪ টেস্ট ম্য়াচই তিনি খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন।
ভারত সফরেই জানা গিয়েছিল রোগের কথা, আর হয়নি প্রত্যাবর্তন
১৯৫৯ সালে গর্ডন রোর্কে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সঙ্গে ভারত এবং পাকিস্তান সফরে এসেছিলেন। পাকিস্তানের মাটিতে তো একটাও ম্য়াচ খেলার সুযোগ তিনি পাননি। কিন্তু, ভারতের এসে ২ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। এরমধ্যে প্রথম ম্য়াচটা আয়োজন করা হয়েছিল দিল্লিতে, আর দ্বিতীয় ম্য়াচটা কানপুরে। এই ম্য়াচ চলাকালীন গর্ডন হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। খবর কানে আসা মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে অস্ট্রেলিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
গর্ডনের বোলিং অ্যাকশন যথেষ্ট অদ্ভুত ছিল। হাত থেকে বলটা ছাড়ার সময় তিনি পিছনের পা'টা ঘষতেন। সেকারণে তাঁর সামনের পা ক্রিজ লাইনের থেকে অনেকটাই এগিয়ে থাকত। এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নো-বলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়। পরবর্তীকালে অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেই সিদ্ধান্তই বলবৎ হয়। বর্তমানে কোনও বোলারের পা যদি ক্রিজের সামান্য বাইরে বেরিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আম্পায়ার নো-বলের সিদ্ধান্ত দেন।
একনজরে গর্ডন রোর্কের কেরিয়ার
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের প্রাক্তন পেস বোলার গর্ডন রোর্কের কেরিয়ার গ্রাফে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। তিনি ৪ টেস্ট ম্য়াচে ২০.৩০ গড়ে মোট ১০ উইকেট শিকার করেছিলেন। ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকারই তাঁর কেরিয়ারের সর্বশ্রেষ্ঠ পারফরম্য়ান্স ছিল। অন্যদিকে, প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে রোর্কে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের হয়ে খেলতেন। ১৯৬৩ সালে এই দলের হয়ে শেষ ম্য়াচ খেলেছিলেন তিনি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে গর্ডন রোর্কে ৩৬ ম্য়াচ খেলে ২৪.৬০ গড়ে মোট ৮৮ উইকেট শিকার করেছিলেন। ইতিমধ্যে তিনি ৩ বার একই ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করেন। এই ফরম্য়াটে ৫২ রান দিয়ে ৬ উইকেট শিকারই তাঁর কেরিয়ারের সর্বশ্রেষ্ঠ পারফরম্য়ান্স ছিল।