দুঃস্বপ্নের ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ কেটেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। ৩৭ বছরের মহাতারকা পাঁচটি আলাদা আলাদা সংস্করণের বিশ্বকাপে গোল করার বেনজির কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তবে এটুকুই। বাকি কোনওকিছুই ঠিকঠাক হয়নি সিআরসেভেনের। গোটা টুর্নামেন্টে করেছেন মাত্র ১ গোল।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে তাঁকে তুলে নেওয়ার করে কোচের ওপরে প্রকাশ্যে রাগারাগি করেছিলেন। এতে তীব্র সমালোচিত হন তারকা। তারপরে নকআউটে সুইজারল্যান্ড এবং মরক্কো ম্যাচে প্ৰথম একাদশেও জায়গা পাননি তিনি।
আরও পড়ুন: মেসিকে গোল্ডেন বল দেওয়ায় কি ভুল হল ফিফার! বিষ্ফোরক মন্তব্যে বিতর্কের আগুন রোনাল্ডোর
মরক্কোর বিরুদ্ধে ০-১ গোলে বিদায় নেওয়ার পরে রোনাল্ডো কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে দেন, পর্তুগালের জার্সিতে তাঁর বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছে। বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে রোনাল্ডোর সমর্থনে এবার হাজির হলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রাসেপ এর্দোগান। তিনি জানিয়ে দিলেন, রাজনৈতিকভাবে রোনাল্ডোর ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
বিস্ফোরকভাবে রোনাল্ডোর সঙ্গে রাজনীতি জুড়ে দিয়ে এর্দোগান নিজের দেশে এক অনুষ্ঠানে বলে দিয়েছেন, "রোনাল্ডোকে ওঁরা পুরোপুরি অপচয় করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওঁর ওপর রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছিল। রোনাল্ডোর মত একজন ফুটবলারকে ম্যাচ শেষের মাত্র ৩০ মিনিট বাকি থাকতে মাঠে নামিয়ে মানসিকভাবে দুমড়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। ওঁর এনার্জি নিয়ে নেওয়া হয়। আসলে রোনাল্ডো এমন একজন যে সবসময় প্যালেস্টাইনের হয়ে মুখ খুলেছে।"
আরও পড়ুন: নেইমারকে রাখলে আমাকে ছাড়তে হবে, পিএসজিকে ক্লাব ছাড়ার হুমকি এবার এমবাপের
রোনাল্ডো নিজে অবশ্য এরকম কিছু ইঙ্গিত দেননি। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে রোনাল্ডো বলে দিয়েছেন, "তাড়াহুড়ো করে এখনই প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় আসেনি। আমাকে নিয়ে অনেক কিছু বলা হচ্ছে, লেখা হচ্ছে, গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তবে সকলকে জানাতে পর্তুগালের জন্য আমি সবসময় উৎসর্গকৃত। সবসময় একজন পর্তুগিজ হিসাবে সম্মিলিতভাবে সকলের স্বপ্ন পূরণ করতে চেষ্টা করেছি। কখনই সতীর্থ, দেশের বিরুদ্ধে যাব না।"