আজ বিশ্বের অন্য়তম ধনী অ্যাথলিটদের তালিকায় প্রথম সারিতেই তাঁর নাম আসে। কিন্তু ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো মুখে সোনার চামচ নিয়ে জন্মাননি। ফুটবল গ্রহের সর্বকালের অন্য়তম সেরা তারকা একটা সময় রাস্তাও ঝাড় দিয়েছেন।পকেটে পয়সা না-থাকার জন্য় দু'মুঠো খাবারের জন্য়ও প্রায় ভিক্ষাই করতে হয়েছিল সিআর সেভেনকেও।
-->
ছোটবেলার দিনগুলোর কথা ভোলেননি জুভেন্তাসের পর্তুগিজ সুপারস্টার। ভোলেননি সেই মহিলাদের কথা যাঁরা তাঁকে ছোটবেলায় বিনা পয়সায় মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন। আজ তাঁদেরকেই প্রতিদান ফেরত দিনে চান রোনাল্ডো। আর সেই মানুষগুলোকেই খুঁজছেন পর্তুগালের প্রথম ইউরো কাপ জয়ী ক্য়াপ্টেন।
আরও পড়ুন: রোনাল্ডো জানালেন কবে বিয়ে করছেন তিনি
-->
সম্প্রতি আইটিভি-তে পিয়ার্স মর্গ্য়ানের শো-তে এসেছিলেন পাঁচবারের ব্য়ালন ডি-অর জয়ী। সেখানেই তিনি জানালেন এই কথাগুলো। চোখের জল মুছতে মুছতেই তিনি বললেন, "আমার তখন ১১-১২ বছর বয়স। পকেটে কোনও পয়সা ছিল না। অথচ পেটে খিদে ছিল। আমাদের স্টেডিয়ামের পাশেই ছিল একটা ম্য়াকডোনাল্ড'স। ওখানে গিয়ে কাঁচের দরজায় টোকা দিতাম আমরা। জানতে চাইতাম কোনও বার্গার আছে কি না! সবসময় এডনা এবং আরও দু'টি মেয়ে ছিল আমাদের জন্য়। ওদের তারপর আর খুঁজে পাইনি। আমি পরে পর্তুগালে ওদের ব্য়াপারে অনেককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। কিন্তু আজও খুঁজে পায়নি। ম্য়াকডোনাল্ড'সটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই ইন্টারভিউয়ের পর কেউ যদি ওদের খুঁজে দিতে পারে তাহলে আমি খুশি থাকব। "
পিয়ার্স মর্গ্য়ান এই সাক্ষাৎকারের পর জানিয়েছেন যে, সম্ভবত এডনাকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু তিনি আবার বলছেন যে, রোনাল্ডো যাঁদের খুঁজছেন, তাঁদের পাওয়া যায়নি। খোঁজ চলছে।
Read full story in English