ফের খবরের শিরোনামে অস্ট্রেলিয়ার স্টার ব্য়াটসম্য়ান ডেভিড ওয়ার্নার। এবার ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও নিউজিল্য়ান্ডের কলিন মানরোর সঙ্গে এক আসনে চলে আসলেন তিনি। এই তিন ক্রিকেটারই কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ফর্ম্য়াটে টানা তিন ম্য়াচে হাফ-সেঞ্চুরির নজির গড়েছেন।
ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে অ্যাশেজে তীব্র সমালোচিত হয়েছিলেন ওয়ার্নার। পাঁচ ম্য়াচের টেস্ট সিরিজের ১০ ইনিংস মিলিয়ে তাঁর ব্য়াট থেকে এসেছিল মাত্র ৯৫ রান। ওয়ার্নারের মতো বিশ্বমানের ক্রিকেটারের থেকে যা একেবারেই প্রত্য়াশিত ছিল না।ওয়ার্নারের ফর্ম দেখে অনেকেই তাঁর অস্ট্রেলিয়া দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সদ্য়সমাপ্ত তিন ম্য়াচের টি-২০ সিরিজে রণংদেহী ওয়ার্নারের ব্য়াট ক্রিকেটের সেই চিরাচরিত প্রবাদটাই প্রতিষ্ঠিত করেছে, "ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট"। দ্বীপরাষ্ট্রকে নিজেদের ঘরের মাঠ হোয়াইট ওয়াশ করার সিরিজেই ওয়ার্নার তিন ম্যাচেই অপরাজিত ছিলেন। যথাক্রমে ১০০, ৬০ ও ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তিন ম্যাচে ২১৭ রান করে সিরিজ সেরা হন ওয়ার্নারই।
আরও পড়ুন-লঙ্কানদের হোয়াইটওয়াশ করল অজিরা
ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণের কোনও দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে কোহলিই প্রথম টানা তিন ম্য়াচে পঞ্চাশ বা তার বেশি রান করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৫-১৬ মরসুমে ভারত অধিনায়ক তিন ম্য়াচেই অপরাজিত থেকে ৯০, ৫৯ ও ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর কিউয়ি ব্য়াটসম্য়ান মানরো দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে এই নজির গড়েন ২০১৭-১৮ মরসুমে। তাঁর ব্য়াট থেকে এসেছিল ৫৩, ৬৬ ও ১০৪। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এই রেকর্ড করেন তিনি। বিশ্বের তৃতীয় ব্য়াটসম্য়ান হিসাবে ওয়ার্নার এই নজির গড়লেন। অস্ট্রেলিয়ার টি-২০ স্পেশালিস্ট ওয়ার্নার এই সিরিজে তাঁর দেশের প্রথম ব্য়াটসম্য়ান হিসাবে ২০০০ রান পূর্ণ করলেন টোয়েন্টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।