আর দু'দিন পরেই ভারতীয় ক্রিকেটের মাহেন্দ্রক্ষণ। ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত হবে দেশের প্রথম দিন-রাতের টেস্ট। গোলাপি বলে লেখা হবে নতুন অধ্য়ায়।
বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের মতো আরও অনেকেই মনে করেন যে, ক্রিকেটের দীর্ঘতম সংস্করণকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে এই গোলাপি বল বা দিন-রাতের টেস্ট। কিন্তু দেশের প্রাক্তন কিংবদন্তি ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড় বলছেন অন্য় কথা।
আরও পড়ুন, লঞ্চে ‘না’ বিরাটের, ইডেন টেস্টের আগেই ফাঁস ক্যাপ্টেনের গঙ্গা-‘ভীতি’
জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান বলছেন টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য় গোলাপি বলই একমাত্র রাস্তা নয়। দ্য় ইকোনমিক টাইমস পত্রিকায় দ্রাবিড় বলেছেন, "গোলাপি বলই টেস্ট ক্রিকেটকে পুনরুজ্জীবিত করার একমাত্র রাস্তা নয়। তবে এটা অন্যতম একটা রাস্তা। আমরা যদি শিশিরটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে গোলাপি বলের টেস্ট ভারতের বার্ষিক ইভেন্ট হতে পারে। বল যখন ভিজে যাচ্ছে তখন বোলারদের জন্য় মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। গোলাপি বল অবশ্য়ই মানুষকে মাঠে ফেরাতে উদ্বুদ্ধ করবে। কিন্তু টয়লেট, সিটিং এবং গাড়ি পার্কিংয়ের মতো বেসিক বিষয়গুলোও দেখতে হবে।”
আরও পড়ুন, গোলাপি বলে রিস্ট স্পিনাররা অনেক বেশি কার্যকর হবে: হরভজন সিং
২০০১ সালে ইডেন গার্ডেন্সে লক্ষাধিক মানুষ এসেছিলেন টেস্ট ম্যাচ দেখতে। এখন আর সেভাবে দর্শক হচ্ছে না মাঠে। দ্রাবিড় এই প্রসঙ্গে বলছেন, "একটা বিষয় আমরা ভুলে যাচ্ছি। তখন কিন্তু ঘরে বসে অসাধারণ ক্রিকেট দেখার জন্য় এইচডি টেলিভিশন ছিল না। মোবাইলে ক্রিকেট দেখা যেত না। খেলা দেখার জন্য় মাঠেই আসতে হতো।”
দ্রাবিড় ইংল্য়ান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার উদাহরণ টেনে বলেছেন যে, অ্যাশেজ দেখতে মানুষ স্টেডিয়াম ভরান কারণ ওই দেশগুলোতে টেস্ট ক্রিকেটের একটা ক্য়ালেন্ডার রয়েছে। যেটা ভারতে নেই। তাঁর মত, অস্ট্রেলিয়ার মানুষ ২৬ ডিসেম্বরের বক্সিং ডে টেস্ট বা ইংল্যান্ডের বাসিন্দারা জুলাইয়ে লর্ডস টেস্ট দেখার জন্য় এক বছর আগে থেকে পরিকল্পনা করতে পারেন। ভারতকেও সেটাই মেনে চলতে হবে। তবেই মাঠে দর্শক আসবেন।