De Villiers on India’s dressing room: ভারতের ড্রেসিংরুমের অভ্যন্তরীণ বিবাদ সম্পর্কে বিরাট ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ এবি ডি ভিলিয়ার্স। তিনি বলেছেন, 'যখন ধোঁয়া থাকে, তখন আগুনও থাকে।' বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে ভারতের সিরিজ হারের পর, ভারতীয় ড্রেসিংরুমের পরিবেশ সম্পর্কে বলতে গিয়ে এবি ডি ভিলিয়ার্স ওই মন্তব্য করেছেন। তিনি ড্রেসিংরুমে ভালো পরিবেশ থাকার ওপর বিরাট গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
ক্রিকেট কিংবদন্তি ডি ভিলিয়ার্সের ধারণা, ভারতীয় ড্রেসিংরুমে সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। প্রথমে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে এনিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তারপরই এব্যাপারে মন্তব্য করলেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ওই রিপোর্টে ফাঁস করা হয়েছে যে একজন সিনিয়র ক্রিকেটার অফ ফর্ম থাকা সত্বেও অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে সুসম্পর্কের সুবাদে ভারতীয় দলের হয়ে খেলে চলেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ভারতের ১-৩ ব্যবধানে হারের পর এবি ডি ভিলিয়ার্স তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি লাইভ করেছেন। সেখানে তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্টের সুরেই ড্রেসিংরুমে ভালো পরিবেশ থাকার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এই ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে ডি ভিলিয়ার্স বলেছেন, 'আমি জানি এনিয়ে অনেক কথা চলছে। অবাক হওয়ার কিছু নেই। যখন ধোঁয়া থাকে, তখন আগুনও থাকে। আমি ড্রেসিংরুমে কাটিয়েছি। এমন একটা ড্রেসিংরুমে ছিলাম, যেখানে প্রতিকূল পরিবেশ ছিল। যখন কেউ বাড়ি থেকে দূরে থাকে, পরিবারকে মিস করে আর অফ ফর্মে থাকে, তখন পরিবেশটা এমনিই খারাপ হয়।'
এতেই না থেমে কিংবদন্তি ক্রিকেটার আরও বলেন, 'ড্রেসিংরুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বাড়ি থেকে দূরে থাকলে তো বটেই। এটা দেশে থাকলে তা-ও সহজ হয়ে যায়। আমার কোনও সন্দেহ নেই যে অস্ট্রেলিয়ায় গত সপ্তাহে ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ বেশ খারাপ হয়েছে। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস হারাতে শুরু করেছে। এমনিতে ভারতীয় ড্রেসিংরুমের ব্যাপারে আমার কাছে কোনও পাক্কা খবর নেই। কে কার সঙ্গে ঝগড়া করছে, সেটা জানার পরই বলতে পারব।'
ড্রেসিংরুমের পরিবেশের গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে ডি ভিলিয়ার্স দক্ষিণ আফ্রিকা দলে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি বলেন, 'ড্রেসিংরুমের পরিবেশ অনেক সময়ই খারাপ হয়ে যায়। ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আমরা অস্ট্রেলিয়ায় ২-০ ব্যবধানে হেরেছিলাম। তারপরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিলাম। আমরা ছয় টেস্টের মধ্যে ৫টিতে হেরেছি। সেই সময় ড্রেসিংরুমে কোনও আলোও ছিল না। গোলাপও ছিল না। আমরা একে অন্যের সঙ্গে ঝগড়া করতাম।'
ড্রেসিংরুমের পরিবেশ কতটা গুরুত্বপূর্ণ জানতে চাইলে ডি ভিলিয়ার্স বলেন, 'আমার মতে ড্রেসিংরুমের পরিবেশটাই সব। আমি যখন দলের অধিনায়ক ছিলাম, তখন সেটাই বিশ্বাস করতাম। আমি মনে করি যে ড্রেসিংরুমে সত্যি কথা বলা দরকার। খেলোয়াড়রা যদি একে অপরের প্রতি অনুগত থাকে, দুর্দান্ত পরিবেশ এবং হরিহর আত্মা হয়ে থাকে, সতীর্থ খেলোয়াড়কে যদি সব সময় সম্মান করে, তবে আমরা মনে হয় কেউ ফর্ম হারালেও তাঁর কাছে একটি ভালো ড্রেসিংরুম আছে।'
আরও পড়ুন- অক্ষমতা প্রকাশ গম্ভীরের! কোহলি, রোহিতের ভবিষ্যৎ ঘিরে জল্পনা
নিজের ড্রেসিংরুম সম্পর্কে অভিজ্ঞতার ব্যাপারে বলতে গিয়ে ডি ভিলিয়ার্স বলেন, 'আমার দেখা সবচেয়ে খারাপ ব্যাপারটা হল: ২০১৫ সালে একদিনের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ইডেন পার্কে (অকল্যান্ড) নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ার পরবর্তী অবস্থা। যখন আমরা বুঝতে পারলাম ফাইনালে উঠতে পারব না, তখন ড্রেসিংরুমে একটা গুমোট ভাব! এত গুমোট পরিবেশ যে আমি কথাই বলতে পারছিলাম না। সেই সময় আমার মনে হল, আমার চারপাশে একদল ভাই বসে আছে। এটি এমন এক মুহূর্ত, যা চরিত্র গড়ে তুলতে সাহায্য করে।'