এই মুহূর্তে টুইটার সরগরম সানিয়া মির্জা বনাম বীণা মালিকের কাজিয়া নিয়ে। এখন প্রশ্ন টেনিস সুন্দরী আর পাক অভিনেত্রীর কেন আর কী নিয়ে ঝামেলা বাঁধল! পুরো ঘটনার জন্য় দায়ী ভারত-পাক ম্য়াচের আগের রাতের ঘটনা। বিরাট কোহলিদের কাছে তুলোধোনা হওয়ার পরেই একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। আর তা নিয়েই বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। পাকিস্তানের হারের জন্য দায়ী করা হচ্ছে এই ঘটনাকেই।
ম্যাচের ঠিক আগের রাতে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা হাজির হয়েছিলেন ম্যাঞ্চেস্টারের একটি লাউঞ্জ কাম বারে। সেখানে হুঁকোও পান করেছিলেন তারকারা। পুরো বিষয়টিই নাকি সানিয়া মির্জার মস্তিষ্কপ্রসূত। শোয়েব মালিকের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইমাদ ওয়াসিম সহ পাকিস্তানের জাতীয় দলের অধিকাংশ ক্রিকেটার।
![]()
আরও পড়ুন: রাতে শোয়েবদের সঙ্গে সানিয়ার ‘কুকীর্তি’, ছবি ফাঁস হতেই বিস্ফোরণ সুন্দরীর
আর এই ঘটনা সামনে আসার পরেই বীণা তোপ দাগেন সানিয়াকে। বীণা প্রথম টুইটে সানিয়াকে বলেন যে, এটা জেনে তিনি খুব অবাক হয়েছেন যে, সানিয়া তাঁর সন্তানকে হুক্কা বারে নিয়ে গিয়েছিলেন। কারণ জায়গাটা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। পাশাপাশি জাঙ্ক ফুড অ্যাথলিট এবং খেলোয়াড়দের খাওয়া ঠিক নয়েও বলেও তিনি মন্তব্য করেন। পাশাপাশি এও বলেন যে, সানিয়া নিজে একজন অ্যাথলটি তাঁর এই বিষয় অবগত হওয়া প্রয়োজন।
এরপর সানিয়া এই টুইটের উত্তরে জানান যে, তিনি তাঁর সন্তানকে ওখানে নিয়ে যাননি। পাশাপাশি বিশ্ববন্দিত এই টেনিস খেলোয়াড় এও জানান যে, তাঁর সন্তানের চিন্তা এই পৃথিবীতে তাঁর চেয়ে বেশি কেউ করে না। পাশাপাশি সানিয়া আরও বলেন যে, তিনি পাক দলের ডায়টেশিয়ান নন, এমনকী তাদের প্রিন্সিপ্যাল বা টিচারও নন।
এরপর বীণা আবার টুইট করেন লেখেন যে, তিনি সানিয়াকে প্রিন্সিপ্যাল বা ডায়টেশিয়ান কোনওটাই বলেননি। তাঁর বক্তব্য সানিয়ার জানা উচিত অ্যাথলিটদের ফিটনেস কত'টা প্রয়োজন। পাশাপাশি সানিয়াকে তিনি ক্রিকেটার স্ত্রী হিসেবেও খোঁচা দিয়েছেন।
এরপর বীণা আরও একটি টুইট করে বলেন যে, তিনি অত্যন্ত ভদ্রভাবেই সানিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্ত সানিয়া তাঁকে ব্লক করে দিয়েছে এবং পরিবেশটা অস্বাস্থ্যকর দিয়েছে। সানিয়াকে বউদি বলে সম্বোধন করেও বলেন সানিয়া বিষয়টা ব্য়ক্তিগত পর্যায় নিয়ে গিয়েছেন। এসব দেখে অবেশেষে মুখ খোলেন শোয়েব মালিকও। তিনি বলেন এই রকম একটা আলোচনায় পরিবারকে টানা ঠিক নয়। শোয়েব এও বলেন ২০ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাটিয়ে দেওয়ার পরেও তাঁকে ব্য়ক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে। এটাই খারাপ লাগছে তাঁর।