সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় যখন টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন ছিলেন তখন তাঁর হাত ধরে ভারতীয় ক্রিকেটে জন্ম নিয়েছিল একাধিক তারকা। তাঁদের মধ্যেই মহম্মদ কাইফ। যুবরাজ সিংয়ের সঙ্গে যুগলবন্দিতে নীল জার্সিধারীদের ফিল্ডিংয়ের সংজ্ঞাটাই বদলে দিয়েছিলেন কাইফ। শুধু ফিল্ডিংই নয়, কাইফের ব্য়াটিংও ছিল তারিফ করার মতো।
কাইফ বললেই চোখের সামনে আজও ভেসে ওঠে ২০০২ সালের ১৩ জুলাইয়ের সেই ঐতিহাসিক ম্যাচের কথা। তিন বল বাকি থাকতেই ২ উইকেটে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজ জিতে নিয়েছিল ভারত। সেদিন লর্ডসের ব্যালকনি থেকে সোজা মাঠে ছুটে এসে কাইফকে কোলে তুলে নিয়েছিলেন দাদা। কারণ একটাই কাইফের ৭৫ বলের অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংসই ভারতের হয়ে রূপকথা লিখেছিল লন্ডনে।
আরও পড়ুন: ‘স্টেট টপারকেও ইউনিট টেস্টে ফেল করাতে পারে নেহরা’, ঝড় টুইটারে
সেই সৌরভ-কাইফ আবার এক দলে। যদিও এখন ভূমিকাটা সম্পূর্ণ আলাদা। সৌরভ দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টর। আর কাইফ সেই দলের সহকারি কোচ। একইসঙ্গে ড্রেসিংরুম থেকে ডাগআউট শেয়ার করছেন তাঁরা। ফিট থাকতে দু'জনে জিমও করছেন একসঙ্গে। কাইফ নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শারীরিক কসরতের সেই ভিডিও শেয়ার করে লিখলেন, "আমার নতুন জিম ইনস্ট্রাকটর, দ্য গ্রেট ম্য়ান-দাদা।"
এই একই ভিডিও দিল্লি ক্যাপিটালসও শেয়ার করেছে তাদের টুইটারে। তারা লিখেছে দশবারের মধ্যে ন'বারই সৌরভের মতো কোনও প্রশিক্ষকের সঙ্গেই সবাই দিন শুরু করতে চাইবে।