ফের বয়স ভাঁড়ানোর ঘটনা ভারতীয় ক্রিকেটে। নিষিদ্ধি হতে হল প্রতিশ্রুতিমান ক্রিকেটারকে। অনুর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের ক্রিকেটে নিজের বয়স কমিয়ে অংশ নেওয়া বোর্ডের তরফে দু-বছরের জন্য সাসপেন্ড হতে হল প্রিন্স রাম নিবাস যাদব। যিনি দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার নথিভুক্ত ক্রিকেটার।
দেশে যুব পর্যায়ের এই টুর্নামেন্টে প্রিন্স রামের বিরুদ্ধে বয়স কমিয়ে খেলার অভিযোগ উঠেছিল। তারপর বোর্ড খতিয়ে দেখে বিষয়টি। জানা গিয়েছে, প্রিন্স রামের কেন্দ্রীয় সেকেন্ডারি বোর্ডের তরফে যে শিক্ষার সংশাপত্র দেওয়া হয়েছিল, সেখানে তার জন্ম তারিখ হিসেবে লেখা রয়েছে ১০ জুন ১৯৯৬। তবে এই তথ্য লুকিয়ে বয়সের নকল সংশাপত্র বোর্ডে জমা দিয়েছিল প্রিন্স রাম। যেখানে তাঁর বয়স লেখা রয়েছে ১২ ডিসেম্বর, ২০০১।
এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কড়া স্ট্যান্স নেয় বিসিসিআই। আপাতত দু-বছরের জন্য সমস্ত ধরণের ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হয়েছে তাঁকে। এই সময়সীমার মধ্যে প্রিন্স রাম কোনও ধরণের ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
দিল্লির এক ক্রিকেট কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, "ও যে বয়স লুকিয়েছে, এটা কনফার্ম। বিসিসিআই থেকে আমাদের জানানো হয়েছে প্রিন্স রাম বয়স ভাঁড়িয়েছেন।"
বিসিসিআই বয়সের নথি হিসেবে সাধারণত সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন-এর সংশাপত্রকে প্রামাণ্য মানে। সেখানেই কারচুপি ধরা পড়ে। ডিডিসিএ-কে পাঠানো ইমেলে বোর্ডের তরফে জানানো হয়, "বয়সের অভিযোগ ওঠার পরে বিসিসিআই প্রিন্স রাম নিবাস যাদবের বয়স খতিয়ে দেখেছে। জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে রাম নিবাস দশম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। যদিও ওর আসল জন্মতারিখ ১৯৯৬-এর ১০ জুন।"
দিল্লির ক্রিকেটে বয়স ভাড়ানোর অভিযোগ অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগে একাধিকবার ডিডিসিএ ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধ আসল বয়স লুকিয়ে খেলার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের খাতাতেও অনেক সময় এমন ক্রিকেটারদের নাম থাকে। যদিও অনেক কেসই অমীমাংসিত পর্যায়ে রয়ে গিয়েছে। দিল্লির সিনিয়র দলে খেলা মনজোৎ কালরা ও হিম্মত সিংয়ের বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় বয়সের কারণে নাম থাকার অভিযোগ রয়েছে।