Dhaka Stadium: গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। তারপর থেকে বাংলাদেশে প্রশাসন দখল করেছে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন তদারকি সরকার। আর, তারপর থেকেই চলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করার কাজ। মূর্তি আগেই ভেঙেছিল। এবার ঢাকা স্টেডিয়াম থেকেও 'বঙ্গবন্ধু' শেখ মুজিবুর রহমানকে বিচ্ছিন্ন করল মহম্মদ ইউনুসের সরকার। যার ফলে এই স্টেডিয়ামের নাম বদলে গেল।
বাংলাদেশে প্রথমবার কোনও আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের নাম বদলাল। এনিয়ে শনিবার মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে সমন্বয়কদের বৈঠক হয়। তারপরই স্টেডিয়ামের নাম বদলের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো সূত্রে খবর। বাংলাদেশের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলামের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে স্টেডিয়ামের এই নাম বদলের কথা জানা গিয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্টেডিয়ামের নতুন নাম হয়েছে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম।
এই স্টেডিয়াম ১৯৫৪ সালে তৈরি হয়েছিল। স্টেডিয়ামটির নাম প্রথমে ছিল ঢাকা স্টেডিয়াম। ক্রিকেট, ফুটবল- দুই-ই খেলা হত এখানে। এমনকী, পূর্ব পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর, ১৯৭৮ সালে এই স্টেডিয়ামেই একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেছিলেন বক্সার মহম্মদ আলি। ১৯৯৮ সালে শেখ হাসিনার সরকার এই স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে রাখে, 'বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম'। ২০০০ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দুনিয়ায় পা রেখে তাদের প্রথম টেস্ট ম্যাচ এই স্টেডিয়ামেই খেলেছিল। সেবার, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান দুই টেস্টের সিরিজে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল।
২০১১ সালে আবার এখানেই ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ হয়েছিল। সেবার প্রতিটি দলের অধিনায়করা রিকশায় চেপে এই স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছিলেন। আবার, এই মাঠের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলা তথা ভারতীয় ক্রিকেটের মহাতারকা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও। তিনি ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে এই স্টেডিয়ামের মাঠেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১২৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন।
বর্তমানে অবশ্য আর এখানে ক্রিকেট ম্যাচ হয় না। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল এই মাঠ ব্যবহার করে। এই মাঠে তিন বার (২০০৩, ২০০৯ এবং ২০১৮) সালে সাফ ফুটবলের ম্যাচ হয়েছে। এই স্টেডিয়ামের সঙ্গে জুড়ে আছে বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকা মেসির নামও। ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, লিয়োনেল মেসি এই স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার হয়ে নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলেন।
আরও পড়ুন- মহামেডানের কাছে হারলেই কি পদত্যাগ? ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কারের বার্তায় ছড়াল জল্পনা
বর্তমানে অবশ্য আর এখানে ক্রিকেট ম্যাচ হয় না। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল এই মাঠ ব্যবহার করে। এই মাঠে তিন বার (২০০৩, ২০০৯ এবং ২০১৮) সালে সাফ ফুটবলের ম্যাচ হয়েছে। এই স্টেডিয়ামের সঙ্গে জুড়ে আছে বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকা মেসির নামও। ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, লিয়োনেল মেসি এই স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার হয়ে নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলেন। মেসি ছাড়াও ওই ম্যাচে খেলেছিলেন আগুয়েরো, ডি মারিয়ারা। ২০২১ সালে শেখ হাসিনার সরকার এই স্টেডিয়ামের সংস্কার করেছিল। সংস্কারের পর অবশ্য স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। আগে ছিল ৫৫ হাজার। সেটাই কমে হয়েছে ৩৬ হাজার।