East Bengal-Oscar Bruzon: মহামেডানের কাছে হারলেই কি পদত্যাগ? ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কারের বার্তায় ছড়াল জল্পনা
ISL: East Bengal-Oscar Bruzon: কলকাতা ময়দানে, বিশেষ করে বড় দলে কোচ বদল সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দল হারলেই বলির পাঁঠা করা হয় কোচকেই। অস্কার ব্রুজো কি তার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হতে চলেছেন?
East Bengal coach: আইএসএলে মহামেডানের বিরুদ্ধে নামার আগে সাংবাদিক বৈঠকে ইস্টবেঙ্গল হেড কোচ অস্কার ব্রুজো ও ফুটবলার রাফায়েল মেসি বাউলি। (ছবি-সংগৃহীত)
ISL: East Bengal-Oscar Bruzon: দলের ফলাফল খারাপ হলেই, পেটোয়া সমর্থকদের লেলিয়ে দেন কর্তারা। চাপ তৈরি করে তাড়ানো হয় কোচকে। এমন ঘটনা কলকাতা ময়দান বারবার দেখেছে। এবার কি অনভিপ্রেত এমন ঘটনার সাক্ষী হওয়ার মুখে ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো? লাল-হলুদ শিবিরের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান যখন লিগ-শিল্ড জয়ের মুখে, সেই সময় ইস্টবেঙ্গলের সেরা ছয়েই থাকা কঠিন।
Advertisment
তার মধ্যে শনিবার মহামেডানের মুখোমুখি হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল টিম। পরিস্থিতি এখন এমনই কঠিন যে, ইস্টবেঙ্গলকে প্রথম ছয়ে থাকতে হলেও লিগের বাকি পাঁচ ম্যাচেই জিততে হবে। তার মধ্যে আবার নর্থইস্ট ইউনাইটেড এবং পঞ্জাব এফসির মত দলের বিরুদ্ধেও খেলতে হবে। ফলে, ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ছয়ে থাকা কার্যত অনিশ্চিত। শুধু তাই নয়, পয়েন্টের বিচারে যদি নর্থইস্ট ইউনাইটেড আরও পাঁচ পয়েন্ট হারায়, পঞ্জাব এফসি যদি তিন পয়েন্ট হারায়, কেরালা ব্লাস্টার্স যদি সাত পয়েন্ট হারায় এবং ওডিশা এফসি যদি ছয় পয়েন্ট হারায়, কেবল তবেই ইস্টবেঙ্গল সেরা ছয়ে উঠতে পারবে। যা কার্যতত অসম্ভব।
এই পরিস্থিতিতেই মহামেডান ম্যাচের আগের দিনের সাংবাদিক বৈঠকে ইস্টবেঙ্গল কোচ আইএসএলে ব্যর্থতার জন্য সবাইকে দায়ী করলেন। নিজের পাশাপাশি সবার পদত্যাগ দাবি করলেন। এমনকী দলের কর্তাদেরকেও বাদ দিলেন না। যা ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে কোচের বর্তমান সম্পর্ককেই কার্যত স্পষ্ট করে দিল। এর মধ্যে আবার দলের অনুশীলনের সময় বিক্ষোভ দেখালেন বেশ কয়েকজন সমর্থক। যা ময়দানের চেনা ছবিটাই আরেকবার যেন স্পষ্ট করে তুলল।
East Bengal Practice: ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলন। (ছবি- সংগৃহীত)
Advertisment
সাংবাদিক বৈঠকে ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেছেন, 'আমাদের ক্লাবে সবক্ষেত্রেই সমস্যা। আমরা যদি টানা ম্যাচ হারি, লিগে সবার নীচে থাকি, তাহলে আমাদের ক্লাবে থাকার অধিকার নেই। এই কথা যেমন কোচ, খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তেমনই টিম ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রেও সমান প্রযোজ্য। ক্লাবের যে জায়গায় থাকার কথা, আমরা সেখানে নিয়ে যেতে পারছি না। আমাদের সমালোচনা শুনতেই হবে।'
তবে, কোচ ব্যর্থতার যাবতীয় দায় নিতে রাজি হলেও ইস্টবেঙ্গলের টিম ম্যানেজমেন্ট বা কর্তারা এই দায়িত্ব নিতে নারাজ। তাঁরা গোটা ব্যর্থতার জন্য ঘনিষ্ঠমহলে কার্যত কোচকেই দুষছেন। বছরের পর বছর ধরে ইস্টবেঙ্গল তাঁবুর নিয়ন্ত্রক এই কর্তাদের মনোভাব সংক্রমিত হচ্ছে ক্লাবের ছোটকর্তা এবং কর্মচারীদের মধ্যে। পরিবেশটা যে ক্রমশ বদলে যাচ্ছে, ক্লাবের বাতাসটা যে ক্রমশ ভারী হয়ে আসছে, এটা বোধহয় বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল কোচেরও। তবে তিনি এনিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। যেমনটা প্রকাশ্যে নারাজ কর্তারাও। তবুও ম্যাচের আগে কোচের সাংবাদিক বৈঠক যেন এই গুমর হয়ে থাকা বাতাসেরই ইঙ্গিত দিয়ে গেল।