ধোনির মেন্টর ছিলেন তিনি। বিদেশের গতিময় পিচে যাতে স্বচ্ছন্দে ব্যাটিং করতে পারেন ধোনি, সেই কারণে রাঁচিতেই ফাস্ট টার্ফ পিচের বন্দোবস্ত করেছিলেন। সেই দেবল সহায় মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হয়ে মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। ৭৩ বছরের সহায় রেখে গেলেন স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে।
আসলে নাম ছিল দেবোরা। তবে ক্রিকেট মহলে জনপ্রিয় ছিলেন দেবল নামেই। শ্বাস কষ্ট নিয়ে কিছুদিন আগেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই করোনা ধরে পরে তাঁর। অক্টোবরের ৯ তারিখেই হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন।
আরো পড়ুন: ক্লাবের প্রশাসনিক গাফিলতি, সংঘাতেই আইএসএলে কোচিং করানো হল না! আক্ষেপ আলেহান্দ্রোর
সংবাদসংস্থাকে পুত্র অভিনব আকাশ সহায় জানান, "হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার ১০ দিন পরে ফের একবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা হচ্ছিল। এদিন ভোর রাত ৩টার সময় মারা যান উনি।"
আমেরিকায় থাকেন সহায়ের কন্যা মীনাক্ষী। তবে তিনি কিছুদিন ধরেই রাঁচিতে ছিলেন। রাঁচিতে এদিন শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে দুপুর ১ টা নাগাদ।
ধোনির বাবা চাকরি করতেন মেকনে। সেই মেকনেই চিফ ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন দেবল সহায়। তারপরে সেন্ট্রাল কোলফিল্ড লিমিটেড-এ চাকরি করতেন তিনি। মেকনে থাকার সময়েই রাঁচিতে ধোনির জন্য ফাস্ট বোলিংয়ের জন্য টার্ফ বানিয়ে দিয়েছিলেন।
এরপরে সিসিএলে থাকার সময় দেবল সহায় ধোনিকে স্টাইপেন্ড দিয়ে চাকরিতে নেন। টার্ফ পিচে খেলার সুযোগ করে দিয়েছিলেন তরুণ ধোনিকে।
ধোনির বায়োপিকেও দেবল সহায়ের চরিত্র দেখানো হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন