Tamim Iqbal’s Health Scare: Did Excessive Smoking Play a Role? Doctor Shahabuddin’s Explosive Claim! বাংলাদেশের ক্রিকেটার তামিম ইকবালের হার্ট অ্যাটাকের কারণ কী? তা নিয়ে জল্পনা অব্যাহত। মাঠেই অসুস্থ হয়ে লুটিয়ে পড়েছিলেন তামিম। আপাতত তিনি স্থিতিশীল। এই পরিস্থিতিতে কবে তামিম হাসপাতাল থেকে মুক্তি পাবেন, তা স্পষ্ট করে দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে, তামিমের দেখভালের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক স্পষ্ট করে দিলেন, তাঁর পেশেন্টের এই আচমকা হৃদরোগের রহস্য কী! আর, সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সেকথা বলতে গিয়েই তামিমের চিকিৎসক যেন রীতিমতো বোমা ফাটালেন।
ডাক্তার শাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন, তামিম ধূমপানে অভ্যস্ত। এই অভ্যেসই তাঁর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করেছে। বর্তমানে তাঁকে হাসপাতালে কড়া নজরে রাখা হয়েছে। আর ধূমপান করতে দিচ্ছেন না হাসপাতালের কর্মীরা। এই ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠকে ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেছেন, 'বর্তমানে ওঁর রিহ্যাবিলিটেশন প্রক্রিয়া চলছে। ওঁর যে ঝুঁকি বা সমস্যাগুলো আছে, সেগুলো মেটানোর চেষ্টা চলছে। তামিম ঘনঘন ধূমপান করতেন। ওঁকে সুস্থ থাকতে গেলে ধূমপান ছাড়তেই হবে। আর, ও মোটা হয়ে যাচ্ছে। ওঁকে মুটিয়ে যাওয়াটাও কন্ট্রোল করতে হবে। সব আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। স্মোকিংটা একবারে ছাড়া অসম্ভব। ও তো প্রথমে বলেছিল, ছাড়তেই পারবে না। পরে কথা দিয়েছে, আস্তে আস্তে ছেড়ে দেবে।'
অনেকেই আছেন, ধূমপানের বিকল্প হিসেবে 'ভেপ' নেন। বাংলাদেশি ক্রিকেটারের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে সেই 'ভেপ' নিতেও নিষেধ করেছেন চিকিৎসকরা। এই ব্যাপারে চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন বলেন, 'ও বলছিল ভেপ নেবে। আমি ওঁকে বলে দিয়েছি যে, ভেপ নেওয়া যাবে না। ভেপে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। ওঁকে সেটা বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছিল। আজ সকালে গিয়ে বুঝেছে। আমরা ওঁকে নিকোটিন প্যাচ বা নিকোটিন গাম দিই। এটা ওঁকে দেওয়াই যায়। কিন্তু, ও সিগারেট খেতে চাচ্ছে। আমরা ওঁকে সেটা দিচ্ছি না। কারণ, ওঁর সমস্যাটা হল ভিটিপি। সিগারেট খেলে সেটা আবার হতে পারে।'
আরও পড়ুন- ধুন্ধুমার যুদ্ধে ভয়ংকর পরিসংখ্যান! চিপকে ১৭ বছর জিততে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু!
ডাক্তার শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে এই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিক্যাল সার্ভিসেস বিভাগের ডিরেক্টর আরিফ মেহমুদও। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ধারণা যে তামিম শিগগিরি বাড়ি ফিরতে পারবেন। এই ব্যাপারে আরিফ মেহমুদ বলেন, 'তামিম তো ঠিকই আছেন। ঠিকঠাক খাওয়া-দাওয়া করছেন। আজ ডাক্তার দেখার পর ওঁকে সিসিইউ থেকে রুমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ওখানে এক-দুই দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তারপর ও বাসায় ফিরতে পারবেন।'